ফেনীতে স্থানীয়ভাবে ঘর-গৃহস্থে পালনকৃত ৮৭ হাজার ৬২৮টি কোরবানীর পশু প্রস্তুত রয়েছে। এটি জেলার কোরবানির পশুর মোট চাহিদার তিনভাগের দুই ভাগেরও বেশী বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিসুর রহমান।
প্রাণি সম্পদ কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার জেলার ৭ হাজার ৯শ’ ৮০ জন খামারি ও ব্যক্তিগতভাবে পশুপালনকারীরা কোরবানি উপলক্ষে ৮৭ হাজার ৬২৮টি পশু হৃষ্টপুষ্ট করে কোরবানির হাটে নিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে ষাঁড় ৪ হাজার ৩শ’ ৬১টি, বলদ ৩৯ হাজার ৮শ’ ২৬টি, গাভী ১০ হাজার ৯শ’ ৯৪টি, ছাগল ১১ হাজার ৫ টি, ভেড়া ১০ হাজার ৪শ’ ৮২টি ও মহিষ ১০ হাজার ৯শ’ ৫৯টি।
সূত্র আরো জানায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার বাণিজ্যিক খামার গড়ে ওঠেছে। কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ করতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়ে ওঠা খামারগুলো বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। খামারিরা যাতে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার না করতে পারেন সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে তদারকি করছে। এসব খামার এবং ব্যক্তিগতভাবে ঘর-গৃহস্থে পালনকৃত পশু দিয়েই জেলার অধিকাংশ মানুষ কোরবানি করতে পারবেন।
ফেনীতে উৎপাদিত পশু কোরবানীর মোট চাহিদার তিনভাগের দুই ভাগেরও বেশী। ফলে অল্প সংখ্যক পশু বাইরের জেলা থেকে আনলে হবে। তবে মৌসুমি বেপারিরা যদি বাইরের জেলা অথবা পাশের দেশ থেকে বেশি পশু আমদানি করেন সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশি খামারি ও পশুর মালিকদের।
এদিকে ফেনীর ৬টি উপজেলার পশুর হাটে ২৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পশুর হাটে যাতে কোন ধরণের রোগ নিয়ে অসুস্থ পশু হাটে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখবেন তারা। মেডিকেল টিমে প্রধান হিসেবে একজন চিকিৎসক ও দু’জন কর্মকর্তা থাকবেন। সবগুলো হাটে তদারকিতে থাকবে ভেটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা লাইভস্টক কর্মকর্তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. মো. আনিসুর রহমান জানান, কোরবানীর পশু কেনাবেচা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। প্রতি বছরের মতো প্রাণিসম্পদ বিভাগ স্থানীয়ভাবে কোরবানীর উদপাদনে সহযোগিতা করে থাকে। এবার ফেনীতে স্থানীয়ভাবে ৮৭ হাজার ৬২৮টি কোরবানীর পশু উৎপাদিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলার ২৫টি পশুর হাটে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সম্পাদনা : এএএম/আরএম/আরএইচ