ফেনীর দাগনভূঞায় চলছে বোরো ধান রোপনের মৌসুম। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপক্ষো করে কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে পর্যাপ্ত বাহিরের শ্রমিক থাকায় অনেকটাই স্বস্তিতে আছেন কৃষক ও গৃহস্থরা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, গতবারের চেয়ে এবার অনেক চাষি আগাম বোরো চাষের জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। অন্য বছরের ন্যায় এবারও বোরোর পুরো মৌসুমে সার ও সেচ কাজের জন্য সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে চলতি মৌসুমেও ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার চারশত চুয়াত্তর হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বোরো ধান রোপনের জন্য প্রায় ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীত ও কুয়াশায় বীজতলার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরন করে আশেপাশের অঞ্চলে বোরো ধানের চারা বিক্রয় করতে পারবেন। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৬ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই উপজেলায় ধান রোপন শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ জানান, আমরা ব্লকে কৃষকদেরকে একক ও দলীয় পদ্ধতিতে বর্তমানে বোরো ধানের বিভিন্ন প্রযুক্তিগুলো সঠিক বয়সের চারা, সারি ও লগো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন, সুষম মাত্রায় জৈব ও অজৈব সার ব্যবহার, গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ, এ ডব্লিউডি, পার্সিং, এলসিসি ব্যবহার এবং আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যেমে ক্ষতিকর পোকা-মাকড় উপস্থিতি নির্ণয় সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন বিষয়ক পরার্মশ দিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাফিউল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির আহবানে সাড়া দিয়ে উপজেলা চাষযোগ্য সকল জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কৃষি অফিস। এ বছর উফসী জাত ৬ হাজার ১৭৬ হেক্টর হাইব্রিড ২৯৮ হেক্টর মোট ৬ হাজার ৪৭৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত মৌসুমের চেয়ে বেশি চাষাবাদ হবে, ফলনও বেশি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
তিনি আরো জানান, এই বছর সরকারের পুনর্বাসন বীজ ও সার সহায়তা, প্রণোদনা, বিভিন্ন প্রকল্প ও রাজস্ব খাতের আওতায় অনেক কৃষক পরিবারকে ধানের বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের যাবতীয়
পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি