ফেনীর পরশুরাম উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থী শুভ বৈদ্য হত্যা মামলার রায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম দেয়া হয়েছে। সোমবার ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ সাঈদ আহমেদ এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পরশুরাম উপজেলার পূর্ব অলকা গ্রামের চানমিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম (১৯), মো. মোস্তফার ছেলে ওমর ফারুক (২২), বেলাল উদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে নুর আলম ভুঁইয়া সমীর (২০) ও আব্দুল মোমিনের ছেলে মো. স্বপন ভুঁইয়া (২১)। এদের মধ্যে আব্দুর রহিম জামিন নিয়ে পলাতক আছেন। বাকিরা জেলহাজতে রয়েছেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ বলেন, পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অনন্তপুরের সাধন বৈদ্যের ছেলে শুভ বৈদ্য (১৬) পরশুরাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। ২০১৫ সালের ২৯ জুন রাতে শুভকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান একই উপজেলার রহিম, ফারুক, সমীর ও স্বপন। পরে একই এলাকার রমেশ বৈদ্যের পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শুভর বাবার কাছে মোবাইলে এক লাখ টাকা দাবি করেন তারা। এ সময় গলায় ফাঁস লাগানোর ফলে মারা যায় শুভ।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় শুভর বাবা সাধন বৈদ্য পরশুরাম থানায় মামলা করলে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খান মো. রহমত উল্যাহ চারজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার বিচারক রায় দেন।
সম্পাদনা : এএএম/এএম/এমকেএইচ