ফেনীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা স্বামী কাউসার আলম তৈমুরের শরীরে তার স্ত্রী গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ৬দিন পর রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইউনিটে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৈমুরের স্ত্রী খাদিজা বিনতে শামস রুপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৈমুর ফেনী শহরের শহীদ সেলিনা পারভিন সড়কের (নাজির রোডের) আবু তৈয়ব চৌধুরীর ছেলে ও ফেনীর ফ্রেন্ডশীপ ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিভাবান সাবেক খেলোয়াড়।
নিহতের ছোট ভাই তানজুর চৌধুরী এই ব্যাপারে ফেনী মডেল থানায় শনিবার (১৬ এপ্রিল) মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই ও ভাবির সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। গত ১১ এপ্রিল সকাল ৬টার দিকে চিৎকার শুনে তারা ছুটে গিয়ে দেখতে পায় গরম পানিতে তার ভাইয়ের শরীর ঝলসে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাকে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার তার মৃত্যু হয়।
তৈমুরের শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার স্ত্রী রুপা। গ্রেফতারের আগে রুপা জানান, তাকে ফাঁসাতে অন্য কেউ এ চক্রান্ত করছে। সেদিন সাহরি খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। তার গায়ে কীভাবে গরম পানি পড়েছে তিনি তা জানেন না।
এদিকে, মৃত্যুর আগে তৈমুরের লেখা ও স্বাক্ষর করা জবানবন্দিতে তিনি জানান, তার এই অবস্থার জন্য তার স্ত্রী জড়িত। সে লিখেছে- সে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গরম পানি ঢেলে দিয়েছে। সেই লেখার নিচে তৈমুরের স্বাক্ষর ও টিপসই রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় রুপাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি