১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহনকারী ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামের মরহুম নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আলী প্রকাশ নসু নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছেন। তিনি অনেকটা সহজ, সরল হওয়ায় স্বাধীনতার ৫১ বছরেও স্বীকৃতি পাননি।
মোহাম্মদ আলী প্রকাশ নসু নেতা জানান, বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের তালিকা করার কাজে জড়িতরা তার কাছে টাকা চাওয়ায় সে অভিমান করে টাকা না দেয়ায় তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। ৭৫ বছর বয়সের এ বৃদ্ধ স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনসহ অনেককে হারিয়ে অসহায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী স্বাক্ষরিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দেশ রক্ষা বিভাগের স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র লাভ করার পরেও জীবনে বহুবার উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক বিভিন্ন অফিসে দৌড়াদোড়ি করেও অসহায় এ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী নসুর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
দিন যত ফুরিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে তার ততই হতাশা এবং গ্লানি বাড়ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় টকবগে যুবক ২নং সেক্টরে বীর দর্পে স্বাধীনতা যুদ্ধ করলেও এখন বৃদ্ধ বয়সে এসে কেউ তার খবর নেয় না। এ প্রতিবেদককে অনেকটা আবেগ তাড়িত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আতাউল গণি ওসমানির স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র দিয়ে তার সাথে যুদ্ধে যাওয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণ করলেও কোন সরকারী ভাতা বা সাহায্য তার ভাগ্যে জুটেনি। মৃত্যুর আগে হলেও তিনিসহ সোনাগাজীর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃত দিয়ে সরকার তাদের হৃদয়ের আবেগ ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদান করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি