আজ

  • শুক্রবার
  • ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাগনভূঞার ৮ ইউনিয়নে একযোগে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ

  • দাগনভূঞা প্রতিনিধি
  • সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য পাঁয়তারার প্রতিবাদে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলকারীরা সরকারের উন্নয়ন, বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে নানারকম শ্লোগান দেন।

    দলীয় সূত্র জানায়, কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিন্দুরপুর, রাজাপুর, পূর্ব চন্দ্রপুর, রামনগর, ইয়াকুবপুর, দাগনভূঞা সদর, মাতুভূঞা ও জায়লস্কর ইউনিয়নে পৃথকভাবে একইসময় এ কর্মসূচী পালিত হয়।

    সিন্দুরপুর, রাজাপুরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা যুবলীগ সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন।

    এসময় বক্তব্য রাখেন সিন্দুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর নবী। ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আজাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ছায়েদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা এম. শহিদ হোসেন রানা, সাইফুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমন ভৌমিক, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জাকের হোসেন প্রমুখ।

    রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিন বি.এ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাশেদুল হক বাবর, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলা, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম. নজরুল ইসলাম বাঙ্গালী প্রমুখ।

    এছাড়া পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ সময় অতিথি ছিলেন পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলা প্রমূখ। রামনগর ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার কামাল উদ্দিন।

    ফেনী জেলা যুবলীগ সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন জানান, “বিএনপি দেশব্যাপী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপিকে বাংলার মাটিতে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করে জনগন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে-ময়দানে থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত তৈরি করা হবে। এর মধ্য দিয়ে দলীয় প্রার্থীকে এমপিকে নির্বাচিত করা হবে। আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বকারী দল, তাই বিজয়ের মাসে কাউকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচনেও কিভাবে ক্ষমতায় আসতে হবে সে বিষয় শেখ হাসিনা জানে। সুতরাং লাফা লাফি করে কোন লাভ হবে না। এ কর্মসূচীকে ঘিরে নারী-পুরুষ সহ সববয়সী মানুষ স্বাগত জানিয়েছে।”

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090