বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য ও ফেনী জেলা আমির মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান বলেছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলো, তারা আজ সারা পৃথিবীতে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। আজ স্রষ্টার লীলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের নাম ছাত্রলীগ, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ, গণহত্যাকারী সংগঠনের নাম যুবলীগ। কালের পরিক্রমায় তাদের আর ফিরে আসতে দেয়া হবে না। তারা এখন যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিচার হবে ইনশাল্লাহ। শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে দ্বীন কায়েম ত্বরান্বিত হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেনীর দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ ১৬ নভেম্বর শনিবার বিকালে স্থানীয় আমুভূঞার হাট হাসানিয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল ওহাবের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর মজলিশ শুরা সদস্য ও সহ-সেক্রেটারী ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন দাগনভূঞা উপজেলা আমীর গাজী সালাহ উদ্দিন ও সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী
প্রধান অতিথি আরো বলেন, যারা অতীতের দেশ পরিচালনা করেছেন তাদের তুলনায় জামায়াত ইসলামীর লোকরা শিক্ষাগত যোগ্যতায় ও গ্রহণযোগ্যতায় এগিয়ে। দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে আমাদের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। মানুষকে পাশে দাঁড়ানোর অংশ হিসেবে ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০ কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এখনো পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, মাওলানা নিজামী ও মুজাহিদরা শহীদ হওয়ায় দেশের কোটি কোটি মানুষ চোখের পানি ফেলেছে। অথচ অপশক্তির বিদায়ে দেশের মানুষের এক ফোঁটা চোখের পানিও পড়েনি। এ অপশক্তি রাষ্ট্রের প্রতিটা সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছে। জামায়াত ইসলামী এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চায়- যেখানে দুর্নীতি, লুটপাটকারী, ধর্ষণকারী থাকবে না, ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে। আমরা আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় করি না।আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী করার জন্য দুনিয়ার কোন রক্ত চক্ষুকে ভয় করি না। ফেনীতে ১৩ জন ছাত্রের গণহত্যকারীদের দ্রুত ধরে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ২০২৫-২৬ সেশনে এমন কাজ হবে যাতে ফেনী জেলা জামায়াত অন্য জেলার জন্য মডেল হয়। জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয় করার জন্য আমরা সকলে কাজ করব।
হাসান মাহমুদের সঞ্চালনা অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক আমীর আবদুল মতিন ভূঞা, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা মুনির হোসেন, জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মঈনুল ইসলাম জোবায়ের, ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সুমন, ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন প্রমুখ।
কর্মী সম্মেলনে জামাতে ইসলামীর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে স্বরূপ সাংস্কৃতিক সংসদ।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি