ফেনীর ফুলগাজী ও সোনাগাজী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ূন কবির না ফেরার দেশে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা শহরের নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই-জোরারগঞ্জ থানার সার্কেল অফিসের পরিদর্শক হিসেবে সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়।
কুমিল্লার ব্রাক্ষ্মণপাড়ায় জন্মগ্রহন করেন ওসি হুমায়ুন কবির। স্ত্রী, ২ ছেলে ও একমাত্র কন্যার জনক ওসি হুমায়ুন কবিরের কর্মময় জীবন শুরু হয় ১৯৯৬ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে।
দরিদ্র কৃষক পরিবারের তারুন্যোদ্দীপ্ত হুমায়ুন কবির শিক্ষাজীবনে উচ্চশিক্ষায় বিএসসি সফলতার সহিত উর্ত্তীণ হয়ে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশের মুহুর্ত্বেই ডাক পড়ে পুলিশের চাকুরীতে।
শিক্ষাজীবনে উচ্চশিক্ষায় বিএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে ১৯৯৫ সালে ওসি হুমায়ুন কবির শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশের মধ্য দিয়ে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্বিত সদস্য নিযুক্ত হয়ে তিনি ১৯৯৭ সালে রাজশাহী বিভাগের পাবনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
প্রাথমিক জীবনে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পরিত্যাগ করে উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশী ওসি হুমায়ুন কবির আর শিক্ষকতা না করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্বিত সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৯৭ সালে রাজশাহী বিভাগের পাবনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে প্রথম কর্মজীবনে প্রবেশ করে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
চাকুরীর সুবাদে তিনি বদলী হয়ে পাবনা হতে হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর সোনাগাজীতে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী ওসি হুমায়ুন কবির ফুলগাজী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হিসেবে যোগদান করেন। ফুলগাজী থানায় ১০ মাস দায়িত্ব পালন করে একই বছর ২৫ অক্টোবর ওসি হুমায়ুন কবির কক্সবাজার জেলায় ডিবির ওসি হিসেবে বদলি হন।
পুলিশ বাহিনীতে আলোচিত-সমালোচিত ওসি হুমায়ুন কবির দীর্ঘ ২৭ বছর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন চলাকালে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখ্য, ওসি হুমায়ুন কবির ফুলগাজী উপজেলার জিএম হাটে অবস্থিত ইটভাটায় চাঁদাবাজি ও মাদকের কারবার হাতে নাতে ধরতে গিয়ে পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আলোচিত সংবাদ হিসেবে স্থান পায়।
এ ঘটনার কিছুদিন পরে মাদকবিরোধী আরেকটি অভিযানে গভীর রাতে ওসি হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে আনন্দপুরের জামমুড়া সড়কে পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে ফুলগাজীর মন্তলা ও ঘনিয়ামোড়া গ্রামের মাদক ব্যাবসায়ী মনির ও সমির নিহত হয়।
পরপর আলোচিত এই সকল অভিযানের প্রেক্ষিতে উপজেলায় মাদককের ভয়াবহতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি