শুক্রবার সকালে সাজগোছ করে নানার বাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে বিকেলে মা বাবার সাথে বাড়ীতে ফিরেছে বাধন কিন্তু লাশ হয়ে। সন্ধ্যায় মা’র ডাকাডাকিতে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ীর আশপাশে খোজাখুঁজি করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বাধনের কোন খোঁজ মেলেনি।
সন্ধ্যার পর বাড়ীর পাশে বসত ঘর ঘেষা খালের উপর সাকোঁর মাঝখানে বাধনের স্যান্ডেল দেখতে পান তারা। ঠিক তখনি মা বাবার বলতে থাকেন তার বাধন খালের পানিতে পড়ে ডুবে গেছে। মুহুর্তেই চারপাশে হৈ চৈ পড়ে যায়। খবর পেয়ে ছুটে যায় ছাগলনাইয়ার ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। ছাগলনাইয়া ফায়ার সার্ভিসের কোন ডুবুরি না থাকায় স্থানীয়রাসহ রাতে খালে দায়সারা তল্লাশি দিলেও সন্ধান মেলেনি বাধনের।
নিখোঁজের প্রায় ষোল ঘন্টা পর স্কুল ছাত্রী মারজানা আক্তার বাধনের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয় শনিবার সকালে। বাধন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের জাফর আলি মিঝি বাড়ির দুবাই প্রবাসী বাহার মিয়ার বড় মেয়ে বাধন। সে লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
ছাগলনাইয়া ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে চট্রগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে ডুবুরী দল এসে নিদাকাজি খালে প্রায় একঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে সাকোঁর বাঁশের সাথে আটকা অবস্থায় বাধনের মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরী খাদেমুল ইসলাম। ডুবুরীদের ধারণা করছেন, হয়তো সাকোঁ পার হতে গিয়ে পা ফসকে খালে পড়ে যায় শিশুটি। পরে বাধনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাধনের মা বিবি তৈয়বা বিলাপ করতে করতে বলেন,আমার কলিজার টুকরো বাধনের ২৮ জানুয়ারী জম্মদিন ছিল। তার জম্মদিন পালন করার জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু খোদায় কেন আমার মানিককে নিয়ে গেলেন? এ মৃত্যূতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাধনের দু’বছরের এক ছোট বোন রয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি