ভোটার এলেন এ্যাম্বুলেন্সে
হুইল চেয়ার বা মানুষের কোলে করে এসে ভোট দিতে দেখা গেছে অহরহ। কিন্তু এবার দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে দেখা গেল এক ভিন্ন চিত্র। ১ নং আলাইয়াপুর কেন্দ্রে মোঃ ইব্রাহিম নামে এক ভোটার এ্যাম্বুলেন্সে করে এসে ভোট দেন। সে ঢাকার একটি হাসপাতাল ভর্তি ছিল। সরাসরি ঢাকা থেকে থেকে দুপুরে ভোট দেন। ভোট শেষে আবার একই বাহনে ঢাকাতে হাসপাতালে ফিরে যান।
সে কাউন্সিলর ১নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ছিল ছিল। পরবর্তীতে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে তার ভাই মাটি জাকিরের গাজর মার্কাকে সমর্থন দিয়েছে।
ইব্রাহিম জানায়, তার ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী জাকিরের গাজর মার্কা ও নৌকাতে ভোট দেয়ার জন্য অসুস্থ্য অবস্থায়ও তিনি ঢাকা থেকে চলে আসেন।
আলাইয়াপুর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খিজ্জির আহমেদ জানান, ইব্রাহিমকে স্ট্রেচারে করে ভোট কক্ষে নিয়ে আসা হলে ভোট কক্ষে দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিদের সহযোগিতায় সে ভোট দেন।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে দাগনভূঞা পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। প্রথমবারের মত ইভিএম মেশিনে ভোট দিচ্ছে ভোটাররা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৬৫ট্টি জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ২২০জন এবং নারী ভোটার ১২ হাজার ৫৪৫ জন। ১৩টি কেন্দ্রে ১৩জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৭৮জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ১৪৬জন পোলিং অফিসার ভোট গ্রহণ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতি কেন্দ্রে ৮জন পুলিশ সদস্য ও ৯জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি ও ৩টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সবকটিতে বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় একক প্রার্থী হওয়ায় ৩ নং ওয়ার্ডে নুরুল হুদা সেলিম, ৫ নং ওয়ার্ড একরামুল হক পাটোয়ারী ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে মোহাম্মদ হানিফ এবং ৯ নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ ফারুক নির্বাচিত হন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি
