ফেনীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোমবার বিকেলে ফেনীর আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন জানান। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করেন। তাঁর নাম মাইদুল আলম লাভলু। তিনি ২০০০ সালে ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
আদালত সুত্র জানায়, ১৯৯৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফেনীতে একজনকে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (দায়রা-৫৪/২০০০) ২০০২ সালের ৩০ জুন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মাইদুল আলম লাভলুর যাবজ্জীবন সাজা হয়। তখন তিনি পলাতক ছিলেন। সোমবার তিনি ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হান্নানের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করেন।
এছাড়া মাইদুল আলম লাভলু সোমবার আরও একটি দন্ডপ্রাপ্ত মামলায় ফেনীর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করেন। ১৯৯৬ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মাসুদকে অপহরন করে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় তাঁর বাবা আবদুল খালেক ভূঁঞা ফেনী থানায় মামলা করেন। ২০০৬ সালের ১৭ জানুয়ারী ওই মামলায় রায় প্রদান করা হয়। এতে আসামী মাইদুল আলম লাভলুর পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার তিনি ফেনীর যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) ফরিদা ইয়াসমিনের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন এবং পাঁচ বছর দন্ডপ্রাপ্ত আসামী- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাইদুল আলম লাভলুর আদালতে আত্মসমর্পন ও কারাগারে প্রেরনের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত; মাইদুল আলম লাভলু জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০০০ সালে বিভিন্ন মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে কানাডায় পাড়ি জমায়। গত প্রায় ১৯ বছর প্রবাসে থাকার পর কয়েকদিন আগে দেশে ফিরে আসেন ও সোমবার ফেনীর আদালতে আত্মসমর্পন করেন।
সম্পাদনা : এএএম/এটি