ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর স্কুল এন্ড কলেজের মাঠটি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠান ও রাজাপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও এলাকার যুব সমাজ খেলাধুলার পরিবেশ ফিরে পাচ্ছে।
এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সচিত্র খবর প্রকাশিত হয়। সংবাদটি জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামানের নজরে পড়ামাত্রই তিনি মাঠটি দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। এর আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা মাঠে স্তুপ রাখা নির্মাণ সামগ্রী অপসারণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রশাসনের নির্দেশ পেয়েই নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তিনটি হিনো ভারী ট্রাক ও তিনটি পিকআপ গাড়ী করেই মালামাল অন্যত্র নেয়া হয়। দীর্ঘদিন এখানে নির্মাণ সামগ্রী রাখার ফলে মাঠটি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। মাঠজুড়ে কাঁদাপানি একাকার। খানাখন্দে ভরে আছে।
রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজাপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আ.ন.ম কাশেদুল হক বাবর জানান, প্রশাসনের নির্দেশে মাঠ থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মাঠটি খেলাধুলার অনুপযোগি হয়ে পড়লেও তার পরিষদের কোন বরাদ্ধ নেই। এক্ষেত্রে মাঠটি সংস্কার করতে স্কুল এন্ড কলেজের পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে বলে তিনি জানান।
রাজাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোমিনুল হক জানান, মাঠ থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়ায় খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশ পেয়েই মাঠ থেকে নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, মাঠে নির্মাণ সামগ্রী দ্রুত অপসারনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। মাঠ ব্যবহারের অনুপযোগি প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, সংশ্লিষ্টদের আবেদন পেলে মাটি ভরাট সহ মাঠ সংস্কারের প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দিতে উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত; ১২০ শতক জায়গার উপর রাজাপুর স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ। এ কলেজে প্রায় ১ হাজার ৩শ শিক্ষার্থী ও মাঠের সামনে ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসায় প্রায় ৮শ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। দীর্ঘদিন মাঠটি দখলে থাকায় শিক্ষার্থী ও এলাকার তরুণরা খেলাধুলা বঞ্ছিত হয়।
সম্পাদনা : এ্এএম/এটি