যেসব অসাধু ব্যবসায়ী ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করে তারা বেশিদিন টেকেনা। অনেক মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়না। রবিবার (১৫ মার্চ) বিকালে ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান এসব কথা বলেন।
সভায় ভোক্তা অধিকার আইনের প্রয়োগ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট একটি আইন রয়েছে এবং তা বাস্তবায়নও হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে শুধুমাত্র আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে এ অপরাধ নির্মূল করা যাবেনা। এজন্য আমাদের বিবেকের উন্মেষ ঘটাতে হবে, মানবতা জাগ্রত করতে হবে এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এসময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ যদি বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ প্রদান করেন, তাহলে ভোক্তাকে হয়রানির শিকার হতে হবেনা।
ভোক্তাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, অনেক সময় দেখা যায় আমরা দোকানে গিয়ে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দেখে আবার ক্রয় না করেই ফেরত আসি। এতে ব্যবসায়ী ক্ষুব্ধ হতে পারে। এজন্য ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও শালীন হতে হবে।
এসময় মো. ওয়াহিদুজজামান ভোক্তাদের সবসময় যাচাই করে পণ্য ক্রয় এবং সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ প্রদান করেন।
সভায় পৌরসভার দায়িত্বহীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ফুটপাত উচ্ছেদ এবং ডেঙ্গুসহ অনেকগুলাে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের থাকলেও তা তারা যথাযথভাবে পালন করছেনা।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমার পরিচালনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ সুমনী আক্তার কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জেলা সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আক্রামুজ্জমান, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক পারভেজ হাজারীসহ ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবন্দ, ভোক্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার আগে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গিকার, সুরক্ষিত ভোক্তা-অধিকার’ প্রতিপাদ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি