ছাগলনাইয়া ঘটিত সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় ছাগলনাইয়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও পায়ে চালিত রিক্্রা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারিক হোসেনকে ঘুষি মারলেন ছাগলনাইয়া পৌর মেয়র মো. মোস্তফা। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জিরো পয়েন্টে এঘটনা ঘটে।
তারিক হোসেন এর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩/৪ মাস পূর্বে ছাগলনাইয়া পৌর শহরে ব্যাটারী চালিত রিক্্রা বন্ধ হওয়ায় পৌর মেয়র মো. মোস্তফার আদেশক্রমে পায়ে চালিত রিক্্রা মালিকরা সমিতি গঠন করে। রিক্্রা মালিক হওয়ায় সমিতিতে শিক্ষক তারিক হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সমিতি থেকে বিভিন্ন মালিক প্রায় ৫ শতাধিক রিক্্রা রাস্তায় নামান। কিন্তু ১০/১৫ দিন আগে ব্যাটারী চালিত রিক্্রা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দের্শে আবার চালু হলে পায়ে চালিত রিক্্রা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে পায়ে চালিত রিক্্রাজীবীরা বেকার হয়ে পড়ে। অনেকে বাধ্য হয়ে রিক্্রা বিক্রি করে দেন। এবিষয়ে একাধিক বার মেয়রের সাথে যোগাযোগ করার পর ১২ জুলাই পুনরায় ব্যাটারী চালিত রিক্্রা আবার বন্ধ হয়ে যায়।
১৩ জুলাই মেয়র পায়ে চালিত রিক্্রা মালিকরা সমিতিকে আলোচনার জন্য ডাকেন। মেয়রের অফিসে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে জিরো পয়েন্টে পায়ে চালিত রিক্্রা মালিক সমিতির লোকজন চা খেতে খেতে কথা বলছিলেন এসময় মেয়রও সেখানে হাজির হলেন। মেয়র আম খাচ্ছিলেন আর সমিতির নের্তৃবৃন্দের সাথে কথা বলছিলেন। সমিতির নের্তৃবৃন্দ একেক জন একেক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিও মতবিনিময় করছিলেন। পায়ে চালিত রিক্্রা মালিকরা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক তারিক হোসেন মেয়র কে বলেন, আগে একবার পায়ে চালিত রিক্্রা নামিয়ে ১০/১৫ দিনের মাথায় ব্যাটারী চালিত রিক্্রা চালু হয়, এখন আবার পায়ে চালিত রিক্্রা লাইসেন্স করে রাস্তায় নামালে অটোরিক্্রা যদি আবার নামে তাহলে এদের কি উপায় হবে? একথা বলার সময় মেয়রের হাতে থাকা আমের আঁটি ওই শিক্ষকের গায়ে ছুড়ে মারেন ও উপর্যপুরি ঘুষি মারতে থাকেন। তিনি বলেন, তিনি কি অপরাধ করেছেন? তখন মেয়র ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তুই কে? আমার সামনে থেকে সরে যা। ওখানে উপস্থিত লোকজন ওই শিক্ষককে সরিয়ে নিলে মেয়র ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ছাগলনাইয়া বালিকা পাইলট হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক তারিক হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, এবিষয়ে তিনি ছাগলনাইয়া থানার ওসি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে পৌর মেয়র মো. মোস্তফা বলেন, কারণ ছাড়া আমি তাকে কেন মারবো ? ওনি কি অটোরিক্্রা চালায়? আর আমিও পায়ে চলা রিক্্রার পক্ষের লোক। আমার সাথে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটার প্রশ্নই উঠেনা। তিনি যে শিক্ষক সেটাও আমি জানিনা।
সম্পাদনা : এএএম/এমকে