আজ সকালে হাফেজা খাতুনের স্বজনরা এসেছে তার মৃতদেহ নিতে। কিন্তু তাকে আর জীবিত পেলোনা তারা। গত চার বছর ফেনীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের তত্বাবধানে ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বৃদ্ধা হাফেজা খাতুন।গতকাল সন্ধ্যায় তিনি মারা গেছেন।
জানা গেছে, তার পরিবারে খোঁজ পেতে গত চার বছরে অনেকবার পোষ্ট করে সহায়। সবশেষ গত মাসের ৫ তারিখে জীবিত থাকতে তাকে নিয়ে পোষ্ট দেয় তার স্বজনদের খোঁজ পেতে। তাকে জীবিত না পেলেও আজ তার মৃতদেহ নিতে এসেছে স্বজনরা। দুপুরে তারা মৃতদেহ গ্রহন করে তার পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে বিকেলে দাফন সম্পর্ণ করে।
হাফেজা খাতুনের বোনের ছেলেরা জানায়, তিনি ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বরইয়া গ্রামের আন্তি আশ্রাফ ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আবদুল হকের মেয়ে।
তার বোনের ছেলেরা আরো জানায়, ১৯৯২ সালের দিকে হাফেজা খাতুনের একমাত্র ছেলে মারা যায়। তার পর থেকেই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে আগে মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে গেলেও দীর্ঘ কয়েক বছর তারা তার খোঁজ জানতোনা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি দেখে তাকে চিনতে পারে।
ধন্যবাদ জানান, ফেনী জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা, নার্স, ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের প্রতি যারা তাকে সহায়ের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় গত কয়েক বছর সহযোগিতা করেছেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এটি/এএএম