ফেনীর ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপনের উদ্যোগে প্রথম ভিক্ষুক মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা হতে যাচ্ছে ফাজিলপুর ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন মিলনায়তনে প্রায় ২০ জন ভিক্ষুকের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মজিবুল হক রিপন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেইলী সানের ফেনী প্রতিনিধি প্রভাষক আবদুল্লাহ আল-মামুন, দৈনিক আমাদের নতুন সময়’র ফেনী প্রতিনিধি এম. এমরান পাটোয়ারী, ইউপি সচিব জামাল উদ্দিন, ওয়ার্ড মেম্বার গোলাম মাওলা, বেলায়েত হোসেন, সংরক্ষিত নারী সদস্য তাহমিনা আক্তার, স্বপ্না রানী মজুমদার, কামরুজ জাহান।
সভায় জানানো হয়- পুরো ইউনিয়নে ওয়ার্ড মেম্বারের মাধ্যমে ভিক্ষুক জরিপ করা হয়। জরিপে প্রায় ২০ জন ভিক্ষুকের নাম উঠে আসে। আর শতভাগ ভিক্ষুক মুক্ত ইউনিয়ন করার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন। ভিক্ষুকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। কাকে কিভাবে পূর্নবাসন করা যায় তার তালিকা তৈরি করা হয়। প্রথমে চিহ্নিত ভিক্ষুকদের মাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডি চালের ব্যবস্থা করেন। যে যেসব কাজে দক্ষ তাকে সে হিসেবে পুনবার্সনের রুপ রেখা তৈরি করা হয়।
এজন্য ভিক্ষুকদের রিক্্রা প্রদান, গরু পালন, বাঁশ ও বেতের কাজ, হাস-মুরগী পালন, কাপড় ব্যবসা, শুটকি ব্যবসা, মুদি দোকান, পাটি বুনন, ফেরি ব্যবসা ইত্যাদি দক্ষতা হিসেবে পূজি ও সরঞ্জাম প্রদান করা হবে। এজন্য যত অর্থের প্রয়োজন হবে ইউপি চেয়ারম্যান নিজস্ব তহবিল থেকে তা সরবরাহ করবেন। দুই বছর যাবত তাদের কর্মকান্ড মনিটরিং করা হবে। আগামী ২০ মার্চ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউনিয়নকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান। ওইদিন থেকে পুরো ইউনিয়নে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করা হবে।
ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউনিয়নের জনগণ। তাদের দাবি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়মিত দেখভাল করা হলে পূর্নবাসনের উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল হবে। এতে সমাজ ভিক্ষাবৃত্তির নেতিবাচক দিক থেকে মুক্তি পাবে।
সম্পাদনা : এএএম/এটি