কেউ বলে বাসন্তি উৎসব, কেউবা বলে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর এটিকে স্মরণীয় করতে ৯৯ ফেনী’র বন্ধুরা আয়োজন করল স্মরণীয় বনভোজন। জলে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়েছে বন্ধুরা। হাসি ঠাট্টায় মতোয়ারা তারা। আজ যে নেই কোন বাঁধা, নেই কোন শাষন বারণ। তাইতো তারা ফিরে গেল সেই স্কুল জীবনে। খানিকটা সময় যেন তারা স্বপ্নে বিভোর। খানা-পিনা, গল্প-আড্ডায় সময়পার। অন্য দিনের চেয়ে দিনটি আলাদা বলে সে কাঁক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে সবাই হাজির ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে। কিছু সেল্পি আর গ্রুপ ছবি দিয়ে শুরু বন্ধুদের যাত্রা। ৪টি মাইক্রোবাসে অর্ধশত বন্ধু গিয়ে হাজির বন্ধু ‘তারার’ খাবার দোকান লালপোল কাবাব ঘর। সেখানে আরেক রঙ্গমঞ্চ। চলছে হাসি ঠাট্টা মসকারা। খেয়ে-দেয়ে আবার যাত্রা সামনের দিকে পথিমধ্যে সীতাকুন্ড”৯৯” বন্ধুদের রিসেপশনে আত্মহারা বিলাসী বন্ধুরা।
তাইতো বন্ধু ডা. রাসেল তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন “এটাকেই বলে ৯৯ শক্তি। ৯৯ মানেই বন্ধু জন্য ভালোবাসা। ফেনী ৯৯ বন্ধুদেরকে ফুল দিয়ে ভরন করে নিচ্ছে সীতাকুন্ড ৯৯ বন্ধুরা। লাভ ইউ ৯৯”। তার এফবি ওয়ালে ঢেলে দেয় কয়খানা ছবি।
সবুজে ঘেরা অভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভুমি গুলিয়াখালি। দৌড়া-দৌড়ি সেল্পিবাজি, আর গানে গানে তাদের সময় কাটে আনন্দে। সেখানে বন্ধু কাজি আবিদদ গায়ের টি-শার্টের লগোকে ঘীরে লাভ চিহৃ ছবি তুলে তার ওয়ালে পোষ্টে লিখে বন্ধুদের জন্য ভালোবাসা।
দুপুরের খাবার সেরে হাজির তারা সমুদ্র সৈকতে। সেখানেও বন্ধুদের চলে অবিরাম খোঁশগল্প আর খেলাধুলা। ৩৮/৪০বছরের যুবকদের অনুভুতি ১৫/১৬বছরে কিশোরের। তাদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাসটি ছিলো হাইস্কুল জীবনের লেইজার প্রিয়ডের সময়টুকু। আযান পড়ে গেছে বাড়ী ফেরারপালা। সবাইকে একটি কালারপুল প্রিন্ট করা মগ আর টি শার্ট উপহারের পাশাপাশি র্যাফেল ড্র এর পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে ইতি এসএসসি ৯৯ ফেনী বন্ধুদের ২০২০সালের বনভোজন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি