আজ

  • বুধবার
  • ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ মুহুর্তে প্রচারণায় মুখর দাগনভূঞা

  • দাগনভূঞা প্রতিনিধি
  • ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার বহুল কাঙ্খিত সাধারণ নির্বাচন আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা।

    সুষ্ঠু নির্বাচনে খানিকটা শঙ্কা থাকলেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। পোস্টার-লিপলেটে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকা ও আশপাশ। মাইকিং, গনসংযোগ চলছে বিরামহীন। সরকারী দল সমর্থিত প্রার্থীর পাশাপাশি বিরোধী প্রার্থীও চষে বেড়াচ্ছেন এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে। মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করলেও মূলত লড়াই হবে প্রধান ২ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে। দুইজনই স্ব-স্ব দলের দাগনভূঞা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক। এরা হলেন ওমর ফারুক খান (নৌকা) ও কাজী সাইফুর রহমান স্বপন (ধানের শীষ)। এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এড. বিনোদ বিহারী ভৌমিক (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক আজিজ খানও (মোবাইল ফোন) প্রতিন্ধন্ধিতায় থাকছেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে দাগনভূঞা পৌরসভা গঠিত হয়। প্রথম মেয়াদে শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ভাই ও তৎকালীন পৌর বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন মেয়র নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন ওমর ফারুক খান। পরের নির্বাচনেও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপনকে হারিয়ে ফারুক খান জয়লাভ করেন। যদিও ওই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বিএনপির চোখে। এদিকে বিএনপি প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান ১৩ জানুয়ারী নির্বাচন কমিশনে সেনা ও র‌্যাব মোতায়েন চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে গত ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে ৭নং ওয়ার্ডে (দুলা মিয়া কটন মিল এলাকায়) তার সমর্থকরা ধানের শীষের প্রচারণা চালানোর সময় স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুল হাসান (উট পাখি প্রতিক) ও তার সমর্থকরা ধানের শীষের সমর্থক রিয়াদ ও বাবুকে এলাপাতাড়ি মেরে গুরুতর আহত করে।

    একই সময় কামরুল হাসান ও তার সমর্থকরা তার দুই কর্মীর ২টি স্মার্টফোন ও ধানের শীষ প্রতিকের পোস্টার ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনা তুলে ধরে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই দাবী করে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপন বলেন, প্রশাসন চাইলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার পর্যাপ্ত সময় এখনও রয়েছে। তার মতে ভোটাররা নির্বিঘেœ কেন্দ্রে যেতে পারলে আমিই জয়ী হবো।

    অন্যদিকে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক খান বলেন, বিগত ১০ বছরে আমি পৌর এলাকায় কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা নিশ্চিত করেছি। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছি। কাজেই আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।

    এদিকে কাউন্সিলর পদে ৯ওয়ার্ডে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিন্ধন্ধিতা করছেন। এরা হলেন ১নং ওয়ার্ডে জাকের হোসেন (উট পাখি), মো. শাহ আলম (টেবিল ল্যাম্প), মো. জাকের হোসেন (গাজর), আবুল কালাম (পাঞ্জাবী), আলাউদ্দিন (ডালিম), ২নং ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম (উট পাখি) ও শহীদ উল্যাহ (গাজর), ৪নং ওয়ার্ডে আবদুল কুদ্দুছ মিজান (উট পাখি) ও জসিম উদ্দিন (ডালিম)। এছাড়া ৭নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ ইয়াছিন (ডালিম) ও কামরুল হাছান (উট পাখি), ৮নং ওয়ার্ডে গোলাম জিলানী (ডালিম), ছালা উদ্দিন রুবেল (উট পাখি), কামরুল ইসলাম ক্লাইভ (টেবিল ল্যাম্প) ও জিয়াউল হক (পাঞ্জাবী)।

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090