সোনাগাজীতে আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিনের কারামুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনা করে আলোচনা সভা-দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে সোনাগাজীর জিরো পয়েন্টে উপজেলা আ’লীগের কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, ওই দিন বিকাল ৪টায় পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের নেতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটু, উপজেলা আ’লীগের নেতা ও মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউজ্জামান বাবু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ভূট্রো, উপজেলা আ’লীগের নেতা ও মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল, উপজেলা আ’লীগের নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন আরিফ ভূঞা, উপজেলা আ’লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ দ্বীন মোহাম্মদ, চরচান্দিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মানিক, বগাদানা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন বাবুল, আমিরাবাদ ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আরু মেম্বার, ইউপি সদস্য গেদু মিয়া ভূঞা, মতিগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন টিপু ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন সহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মীঅংশ নেন।
বক্তারা বলেন, উপজেলা আ’লীগ নেতা রুহুল আমিন নির্দোষ, তিনি স্ব-দলীয়দের ষড়যন্ত্রের শিকার। আমরা তার নি:শর্ত মুক্তি কামনা করছি। মুক্ত রুহুল আমিনের চেয়ে আজ কারা বন্দি আ’লীগ নেতা রুহুল আমিন বেশি শক্তিশালী। আমরা বিশ্বাস করি তিনি উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন।
গত ২০১৯সালের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকা পরা পাঁচজন। ১০এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এবং প্লাষ্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ নুসরাত মারা যান।
একই বছরের ২৪ অক্টোবর নুসরাত জাহান রাফিকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা ও আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের ফাঁসির রায় দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ।
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক মফিজুল জানান এই কর্মসূচির সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি