আজ

  • শনিবার
  • ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফিফ-সৈকতে স্বপ্নের জয় বাংলাদেশের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • টাইগারদের ব্যাটিং দেখে এক সময় মনে হচ্ছিল আজও বুঝি আর হলো না। কিন্তু আফিফ আর সৈকতের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে অবশেষে বিশ্বকাপের পর জয়ের বন্দরে পৌঁছালো বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজের আজকের উদ্বোধনী খেলায় টাইগাররা জিম্বাবুয়েকে হারায় ৪ উইকেটে।
    টার্নিং পয়েন্টে এসে আফিফ হোসেনের ডেবু ম্যাচে নিজের ফিফটি করে প্রথম দিনটা জয় দিয়ে স্বরণীয় করেই রাখলেন।

    মাঠে নেমে দু’জনেই শুরু থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন। দলের জয়ের জন্য এ ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই। আফিফ করেন ২৬ বলে ৫২ রানের কার্জকরী এক ইনিংস। আর সৈকত ৩০ রানে থাকেন অপরাজিত।।

    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১০১ রান। এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব।

    মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৮টায় শুরু হয় ম্যাচটি। এর আগে জিম্বাবুইয়ের সংগ্রহ ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৪৫ রান।

    রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই অপেনার। তারপরই ঘটে বিপর্যয়। পরপর আউট হন লিটন দাস ও সৌম্য। কাইল জারভিসের স্লোয়ার বল মিড অফের ওপর দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু সহজ ক্যাচ যায় নেভিল মাদজিভার হাতে। সৌম্য ফেরেন ৪ রানে। একটি করে চার ও ছক্কা মেরে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংস। টেন্ডাই চাতারাকে ব্যাকফুটে গিয়ে অফ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। চাতারা দেন ইয়র্কার। লিটন মিস করে হন বোল্ড। লিটন ১৯ রানে ফিরলে ভাঙে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তারপর খেলতে নামেন মুশফিক তিনিও জার্ভিসের বলে ক্যাচ আউট হন ০ রানে। তারপরই আউট হন সাকিব। চাতারারর বলে স্লিপে মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ রানে আউট হন তিনি।

    এর আগে শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। একে একে তুলে নেন তাদের ৫ উইকেট। তারপরই একটু ঘুরে দাঁড়ায় তারা। বার্ল ও মুতাম্বাজি মিলে তুলে নেন দলীয় শতক।

    আজকের ম্যাচে লেগ স্পিনার তাইজুল ইসলামের টি-টোয়েন্টি ডেবু হয়। আর ডেবুর দিনে তার প্রথম বলেই প্রথম উইকেট তুলে নেন তিনি। তার বলে আউট হন ৬ রান করা ব্রেন্ডন টেইলর।

    ১৬ তম ওভারে এসে সাকিব তিনটি ৬ ও তিনটি ৪ রানের সমন্বয়ে দিলেন মোট ৩০ রান। পুরো ম্যাচের মধ্যে এটাই ছিল জিম্বাবুয়ের জন্য বিপদে আশীর্বাদ। রিয়ান বার্ন সাকিবের এই এক ওভারে দানবীয় ব্যাট চালিয়ে তুলে নেন ৩০ রান । সঙ্গে নিজের অর্ধ শতকও তুলে নেন তিনি। আর এ অবস্থায় জিম্বাবুয়ের দলীয় রান অনেকটা এগিয়ে গেল।

    জিম্বাবুয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অভিষিক্ত স্পিনার তাইজুলকে ডেকে আনেন সাকিব। আর বল হাতে নিয়ে জিম্বাবুয়ের মারমুখী ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলরকে মাত্র ৬ রানে ফেরান তিনি। টেলরের স্লগ সুইপটি ঠিক মতো ব্যাটে না লাগায় সেটি থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহর হাতে চলে যায়। টেলর করেন ৫ বলে ৬। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে তুলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আর ক্রেইগ আরভিন। এই উইকেটে ৩৩ বলে তারা যোগ করেন ৪৪ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের করা প্রথম ওভারটির চতুর্থ বলেই ক্রেইগ আরভিনকে তুলে নেন কাটার মাস্টার। ১৪ বলে ১১ রান করে বাঁহাতি এই পেসারকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে মোসাদ্দেকের সহজ ক্যাচ হন আরভিন। অন্যদিকে অভিজ্ঞ মাসাকাদজাকে ৩৪ রানে মিড অফে দাঁড়ানো সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। এর পরের ওভারে যোগ দেন মোসাদ্দেক হোসেন। নবম ওভারে এসে প্রথম বলেই শন উইলিয়ামসকে (২) ফিরতি ক্যাচ বানান এই অফস্পিনার।

    এ সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট সিরিজ হারের পরও ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090