ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর প্রবাহ কমতে শুরু করায় পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত ফুলগাজী ও পরশুরামের ২৬ গ্রামের পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বর্ষা মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের নিশ্চয়তা না দিতে পারায় আবারও পানিতে ভাসার আতঙ্কে স্থানীয়রা।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার রাতে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার কমপক্ষে ১২টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এর ফলে একে একে ভেসে যায় দুই উপজেলার ১৫ টি গ্রাম। পরের দিন থেকে সেই পানি ছড়িয়ে পড়ে আরও ১১টি গ্রামে।
পানিবন্দী থাকার ৪ দিন পর এসব এলাকার পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত বসত বাড়ির ও রাস্তাঘাটের পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সাথে সাথে দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ক্ষত চিহ্ন। আর এখনও নদীর ভাটি অঞ্চলে তলিয়ে আছে মাঠের আমন বীজতলা।
এদিকে পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামীণ অধিকাংশ সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে পড়েছে। আবার অনেক গ্রামের সাথে বিচ্ছিন্ন রয়েছে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে আছি, চারিদিকে পানি, সাপের ভয়। প্রতিবছর আমাদের এমন বিপদে পড়তে হয়। আমাদেরকে কেউ এসে দেখেও না।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম মনে করেন, নদীর বাঁধ ভাঙনের স্থায়ী সমাধানে নদী সংস্কার ও দখলমুক্তসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ্জুজামান।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে, মুহুরী কহুয়া প্রকল্পের মোট ১’শ ২২ কিলোমিটার বাঁধের ১২টি স্থানে ভাঙনের ফলে দুটি উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
সম্পাদনা : এএএম/এটি