পল্লী বিদ্যুতের পিলার তুলে নিয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট লোকজন। ৫ ফিট এর মত গর্ত পড়ে আছে, এ গর্ত ভরাট করবে কে? জনবহুল বাজার ও চলাচলের রাস্তায় এসব গর্তে পড়ে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে তার দায় নেবে কে? এমন প্রশ্ন গজারিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানায়, নতুন লাইন নির্মাণ করায় ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গজারিয়া বাজারে পূর্ব পাশে বর্ণমালা লাইব্রেরির সামনে ও হাকিম আলী মার্কেটের সামনে থেকে পুরাতন দুটো বৈদ্যুতিক পিলার আজ ১২ এপ্রিল শনিবার দুপুরে তুলে নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন। পিলারগুলো জনসমাগমের বাজারে ও সড়কের পাশে হওয়ায় বিদ্যুতের লোকজনকে গর্ত ভরাট করার জন্য ব্যবসায়ীরা অনুরোধ করেন। তারা সাফ জানিয়ে দেয় এটা তাদের কাজ নয়। এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন গর্ত খোড়া শুধু তাদের কাজ? এসব গর্তে পড়ে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে তার দায় নেবে কে?
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, বিদ্যুতের পিলার স্থাপন করা শুধু তাদের কাজ আর তুলে নিলে গর্ত ভরাট করবে কে? এই গর্তে পড়ে কেউ আহত হলে এর দায় নিবে কে? তিনি বলেন, সন্ধ্যায় আমিও প্রিন্সিপাল জাকির হোসেন সহ মিলে টিন ও বাঁশ দিয়ে গর্তের মুখ কিছুটা ঢেকে দিয়েছি।
গজারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন স্বপন বলেন, নতুন বিদ্যুতের লাইনের কাজ চলছে ভালো। কিন্তু নতুন-পুরাতন অনেকগুলো পিলার রাস্তার উপর তারা ফেলে রেখেছে। সড়কের কোন কোন জায়গায় তিনটি পিলার একসাথে ফেলে রাখার কারণে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। রাতে বিরাতে নানা দুর্ঘটনারও স্বীকার হচ্ছে মানুষ। তিনি রাস্তায় ফেলে রাখা পিলারগুলো সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানান।
বর্ণমালা লাইব্রেরীর স্বত্বাধিকারী প্রিন্সিপাল জাকির হোসেন বলেন, পিলার তুলে নেয়ায় প্রায় ৫ ফিট এর মতো গভীর এই গর্তে যেকোনো বাচ্চা পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা কয়েকজন মিলেই কয়েকটি বাঁশ ও টিন দিয়ে আপাতত গর্তের মুখটি ঢেকে দিয়েছি। তবে স্থায়ীভাবে গর্তগুলো ভরাট করা জরুরী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাগনভূঞা জোনাল অফিসের ডিজিএম জুয়েল দাস বলেন, এ কাজগুলো ফেনী থেকে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। তারপরও আমি যেহেতু বিষয়টি জেনেছি, ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানাবো।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি