রোজা ও আসন্ন ঈদের আগে সারা দেশের মানুষের ভোগান্তি রোধ এবং নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ি ও অন্য উন্নয়নমূলক কাজ আগামী ২১ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখতে গত ৪ জুন বিআরটিসি সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমুন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশের পরেও ফেনীর মহিপালে নোয়াখালী বাসস্ট্যান্ড এ পৌরসভার অর্থায়নে ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের পাশে চলছে ড্রেন নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজের জন্য সড়কের ওপর পাথরের স্তুপসহ নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ময়লা ও কাদাযুক্ত পানি আটকে রয়েছে। এছাড়া অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয়ে শহরমুখী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
গত মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মহিপাল থেকে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে তীব্র যানজট। বাস ও ট্রাকসমূহ যানজট এড়াতে বিকল্প সড়কে (পাঁচগাছিয়া-বিসিক) চলাচল করছে। এছাড়া মহিপালে সড়কের পাথরের আনলোড করছে শ্রমিকরা। তারা জানায়, পাথরগুলো ড্রেন নির্মাণ কাজের জন্য আনলোড করা হচ্ছে। তবে সেখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কিংবা পৌরসভার কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে সড়কের এক পাশে পচা-কাঁচাফলসহ বিভিন্ন আবর্জনার স্তুপ অন্য পাশে ড্রেনের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণ সামগ্রী রাখায় কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি জমাট হয়ে রয়েছে মূল সড়কের ওপর এবং পাশ্ববর্তী গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় কার্যালয়ের সামনেসহ আশপাশের এলাকায়।
ফারুক আহম্মদ নামে ফেনী শহরমুখী এক যাত্রী জানান, পৌরসভার উন্নয়ন কাজে নাগরিকদের সুবিধা বাড়বে। তবে ঈদের আগে ব্যস্ত সড়কে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশ্রাফুল আলম গীটার জানান, মহিপালে ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় সড়কে পানি ওঠার বিষয়টি শুনেছি। তবে আগামী কাল (বুধবার) থেকে কাজ বন্ধ রাখা হবে এবং পানি নিষ্কাশনে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।