ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা মহিপাল এলাকায় বুদ বুদ করে বের হচ্ছে গ্যাস। দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে দিলেই জ্বলে উঠছে আগুন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ- বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর কর্মকর্তাদের বার বার অবহিত করা হয়, কিন্তু তারা বিষয়টির সুরাহা করছেন না, কোন রকমে বালি চাপা দিয়ে ধামাচাপা দিতে চাইছেন তারা। শুক্রবার মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় শাহীন হোটেলের সামনে গিয়ে দেখা যায় বহু মানুষের জটলা। জটলা ঠেলে গিয়ে দেখা গেল মহাসড়কে মৃদুভাবে জ্বলছে আগুন। স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে বাখরাবাদ গ্যাসকে অবহিত করলেও তারা না আসায় সেখানে উৎকন্ঠা বিরাজ করছিলো।
ওই এলাকার শাহীন হোটেলের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম জানান, সড়কের অংশে অনেক আগ থেকেই এভাবে বুদ বুদ করে গ্যাস বের হয়ে আসছিলো। গত কয়েকদিন এটি আরো বেড়ে যায়। বাখরাবাদ গ্যাসকে জানানোর পর গত কিছুদিন আগে তারা যেখানে গ্যাস উঠছিলো সেখানে বালু ফেলে যায়। এরপরে ওই স্থানে পানি পড়লে আবার বুদ বুদ করে গ্যাস উঠতে থাকে। আবদুল আলিম জানান এভাবে গ্যাস উঠায় ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মহিপাল এলাকার পরিবহন নেতা মামুন চৌধুরী জানান, ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মান হওয়ার সময় থেকেই মহিপালের এ অংশে গ্যাস লাইনের লিকেজে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীকে বার বার অবহিত করার পরও তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
ইকবাল হোসেন নামের এক মাইক্রোবাস চালক জানান, মহাসড়কে এভাবে বুদ বুদ করে গ্যাস বের হওয়া এবং আগুন জ্বলা এটি নিরাপদ নয়, আমাদের কাছে ভয়ের কারণ এটি। আমরা সড়কে গাড়ি চালাই সিলিন্ডার গ্যাসে। মহাসড়কে এভাবে গ্যাসের আগুন জ্বললে যেকেনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা, প্রাণহানি হতে পারে।
এ ব্যাপারে ফোনে কথা হয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী ফেনীর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. সাহাবউদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, তারা বিষয়টি অবগত আছেন এবং ওই স্থানটি তারা পরিদর্শনও করেছেন। এটা যেহেতেু মহাসড়কের মধ্যে তাই সড়ক খুড়তে হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনুমিত এবং সহযোগীতার বিষয় রয়েছে। এ ব্যাপারে আামরা তাদের দৃৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তাদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
জানতে চাইলে সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী বিষয়টি তাদের জানিয়েছেন। তারা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনও করেছেন। ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রেখে কিভাবে অতিদ্রুত বিষয়টির সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি