পবিত্র ঈদুল আযহা আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। সারাদেশের মতো ফেনীতেও কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। গরু-মহিষ আর ছাগলে ভরে গেছে হাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারাও হাটে ভীড় জমান। পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারাও। আশা করা হচ্ছে, আজ শনিবার থেকে পশুর বেচাকেনা আরো বাড়বে।
শুক্রবার জেলার সর্ববৃহৎ পাঁচগাছিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাটে আসা ক্রেতাদের পছন্দ দেশি গরু। তাই দরদামের পর পিছু হটেন বেশির ভাগ ক্রেতা। গরুর দাম চড়া। তবে কমতে শুরু করেছে। আশানুরুপ বিক্রিও হয়নি। নির্ধারিত স্থান ছাড়াও স্কুল মাঠ, সড়কে সারি সারি গরু উঠেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, এ বছর জেলায় কোরবানির চাহিদা প্রায় ৮৫ হাজার পশু। স্থানীয় লোকজন ও খামারিদের কাছে পশু মজুত আছে ৮৮ হাজার ২৯৮টি। প্রায় ৩ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। জেলার ৫০টি হাটে পশুর রোগবালাই পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলার ছয়টি উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মেডিকেল টিমের কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন।
ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়নের পূর্বদেবপুর গ্রামের খামারি একরামুল হক পাটোয়ারী বিএসসি জানান, তিনি আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ২০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। গরু গুলো আকারে খুব বড়। বাজারে বড় গরুর ক্রেতা নেই। তাই তিনি সব গরু ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। বাজারে দেশীয় ছোট গরু ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির হাটগুলোতে এবার গতবারের তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরু ও মহিষের চাহিদা অনেক বেশি। পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ার হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর চাহিদা আগের তুলনায় কম। দেশী গরু কিনতে বেশী আগ্রহী ক্রেতারা। ক্রেতারা ছুটছেন ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশী গরু ও ছাগলের দিকে। দেশীয় খাদ্যে লালন-পালন হওয়ায় ওইসব গরুর প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। তবে গতবারের চেয়ে এবার পশুর দাম বেশী।
ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, তিনি কোরবানির জন্য একটি গরু, একটি মহিষ ও একটি ছাগল ক্রয় করেছেন। গত বছরের ঈদ বাজারের চেয়ে এবার পশুর মূল্য বেশী।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো.আলমগীর হোসেন জানান, সদর উপজেলায় ৩৮টি কোরবানীর পশুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি হাটে অস্থায়ী বুথ তৈরি করে এবং বাকীগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
সম্পাদনা : এএএম/এপি