ফেনী শহরের ট্রাংক রোড়ের সেনসিভ হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকাল থেকে একাধিক বার দুর্বৃত্তরা হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন নামে এক কর্মচারীর অবস্থা গুরুত্বর। অপরদিকে বেলা আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা পুনরায় এসে হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুন নাহার পারভীনকে লাঞ্চিত করেন।
হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুন নাহার পারভীন সাংবাদিকদের জানান, অবৈধভাবে হাসপাতালের মালিকানা দাবী করে আবদুল আউয়াল নামে এক ব্যক্তি। তার নির্দেশে শনিবার সকাল ১০টার দিকে আরিফ, জয়, আলমের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একদল দুর্বৃত্ত হাসপাতালে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে। এসময় দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের কর্মচারী, নার্স, মার্কেটিং অফিসার ও স্টাফদের পিটিয়ে আহত করে। আহতরা হলেন- হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসার শাহাদাত হোসেন, সেবিকা সুমি, শিল্পী, ওয়ার্ড বয় আমীর, মিলন, আয়া জেসমিন, অঞ্জনাসহ অন্তত ৮ জনকে পিটিয়ে মারাতœক আহত করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে। গুরুত্বর আহত শাহাদাত হোসেনকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় দূর্বৃত্তরা হাসপাতালের ক্যাশ বাক্্ের রাখা দুই লাখ টাকা লুট করে, সেবিকাদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে পরে রোগীদের জোরপূর্বক বের করে দিয়ে হাসপাতালের খাতাপত্র ও রেজিস্ট্রার নিয়ে যায় এবং গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বেলা ১টার দিকে হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুন নাহার পারভীন এসে তালা খুলে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। খবর পেয়ে এএসআই এস.এম রাশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে আবদুল আউয়ালের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সেনস্ভি হাসপাতালের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জসিম জানান, এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী হাসপাতালে দুর্বৃত্তদের হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তবে ঘটনার কোন লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি।
সম্পাদনা : এএএম/এমকে