বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করার মত ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকার অপরাধের মামলায় ১৬ বছর পলাতক থাকার পর এমদাদ উল্যাহ (৪৮) কে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার ভোরে শহরের বিজয়সিংহ দিঘি এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারি এলাকার মাওলানা শামছুল হকের ছেলে।
সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো: মাইন উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করার মত ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকার অপরাধের ঘটনায় বরিশাল মেট্টোপলিটন কোতয়ালী থানায় ২০০৭ সালের ৫ এপ্রিল এমদাদুল উল্যাহসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গির বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদোহের মামলা হয়। মামলা দায়েরর পর থেকে পুলিশ এমদাদ উল্যাহকে গ্রেফতার করতে দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। এমদাদ উল্যাহ মামলার বিষয়ে জানতে পেরে গ্রেফতার এড়াতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় বিভিন্ন মাদরাসায় চাকরি নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পলাতক ছিলেন। গত দুই বছর ধরে তিনি বিজয়সিংহ দিঘি এলাকায় একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করে আসছে। ঢাকা ও বরিশালে গ্রেফতার অন্য জঙ্গিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশের এন্টি টেরিজম ইউনিট ঢাকা ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ এমদাদ উল্যাহর অবস্থান নিশ্চিত হয়।
এসআই মো: মাইন উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা থেকে আগত এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ মহিপাল ও বিজয়সিংহ দিঘি এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে শুক্রবার ভোরে বিজয়সিংহ দিঘি সংলগ্ন এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেফতার জঙ্গি এমদাদ উপজেলার আরেক জঙ্গি আবু ওবায়দা হারুনের সহযোগী।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো: খালেদ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি