ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নে ইছহাকিয়া এতিমখানার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয় লোকজন তার বিচার চেয়ে বিষয়টিকে ভাইরাল করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন যাবৎ তাবিজের কারবার করে আসছেন। দূর দূরান্ত থেকে তাবিজের জন্য নারীরা তার কাছে আসতেন। সম্প্রতি এক নারী ইউসুফ সিদ্দিকীর কাছে তাবিজের জন্য গেলে কৌশলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। ধর্ষণে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগী নারীর কাছে থেকে বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে সিদ্দিকী হুজুর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমকে ভয়-ভীতি দেখায়। এলাকাবাসী জানায়, অতীতে তার বিরুদ্ধে এর চেয়ে গুরুতর অনেক অপকর্মের অভিযোগ আছে। তাকে জগন্য এসব কাজে ছাড় না দিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
সাংবাদিক আজাদ মালদার বলেন, এতিমের সম্পদ লুন্ঠনকারী, দালাল, চাটুকারদের তোষামোদিতে বুঝা যায় মানুষ কত নষ্ট, কত নিচে নেমে গেছে। চোর, লুইচ্চার পক্ষে সাফাই গাইছে।
সমাজসেবক কামরুল ইসলাম ক্লাইভ বলেন, ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে সঠিক হলে তার এবং যারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে তাদের কে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এনামুল হক এনাম বলেন, এই এতিমখানা একজন পীর সাহেবের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান, কোনো অবস্থাতেই জেনো এটার সুনাম নষ্ট না হয়, কোনো অন্যায় অপকর্মের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের সেটা মনে রাখতে হবে
আবদুল্লাহ আল-মারুফ বলেন, ঝাড়, ফুঁক, তাবিজ-তুমার, পানি পড়া, সূতা বাঁধা, বন্ধ করা, তেল পড়া , নতুন বাড়ি বা ঘর ভন করা ইত্যাদি কোরআন ও হাদিসের ভিত্তি কতটুকু?
স্থানীয় হোসাইন সালেহ বলেন, খবরটা শুনে হতচকিত, সত্যতা প্রমাণিত হওয়া ছাড়া কাউকে হেয় করা কতটুকু যুক্তিসম্মত? আমার বুঝে আসেনা, প্রমাণিত হলে অবশ্যই বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি রাখছি, আর যদি মিথ্যা হয় তাহলে একজন বিশিষ্ট আলেমকে অপদস্ত করা মারাত্নক অপরাধ।
জানতে চাইলে ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের ওয়াড মেম্বার জয়নাল আবেদিন বলেন, শুধু এই নারী নয় মাওলানা সিদ্দিকীর হাতে আরো অনেক নারীকে যৌন নিপিড়নের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর অনেকে মুখ খুলতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, নারীকে যৌন নিপিড়নের বিষয়টি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করবেন।
এ বিষয়ে জানতে ইছহাকিয়া এতিমখানার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীর মুঠোফোন বার বার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি/এটি