টানাবর্ষণ ও ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের ৯ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দুটি উপজেলার অন্তত ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফসলি জমি।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে ফেনীর মুহুরী নদীর পরশুরাম অংশের মুহুরী নদীর পরশুরামের অংশে চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর শালধর গ্রামের মহসিন মেম্বার বাড়ি সংলগ্ন, দূর্গাপুর গ্রামের কালাম মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন স্থান, পৌর এলাকার বেড়া বাড়িয়া শাহপাড়া গ্রামে সংলগ্ন স্থান, উত্তর ধনিকুন্ডা বদু মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন ও নোয়াপুর আলত মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ভাঙ্গণ দেখা দেয়। এতে উত্তর ধনিকুন্ডা, চিথলিয়া, শালধর, রাজষপুর, দুর্গাপুর, নোয়াপুর, রামপুর, বেড়াবাড়িয়া, অলকাসহ অন্তত থেকে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, পুকুরের মাছ ও রাস্তাঘাট।
ওই দিন রাতে মুহুরী নদীর ফুলগাজী অংশের উপজেলার জয়পুরের ঘনিয়া মোড়া নামক স্থানে, উত্তর শ্রীপুর গ্রামের পূর্বপাড়া, সাহাপাড়া গ্রামের দু’টি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, নীলক্ষি, কিসমত ঘনিয়া মোড়া, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া, জয়পুর, শাহাপাড়া, বৈরাগপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা নিলু মিয়া জানান, গত বছর একপাশ দিয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে এবার অন্যপাশ। তিনি অভিযোগ করেন, দায়সারাভাবে বাঁধ মেরামতের ফলে মুহুরী নদীর কুল ঘেষা মানুষের দূর্ভোগের শেষ থাকে না।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙ্গণ অংশ ও বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে পর্যান্ত ত্রান মজুদ রয়েছে। এছাড়াও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জহির উদ্দিন জানান, মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানিও কমতে শুরু করবে।
সম্পাদনা : এএএম/এটি