বিদেশ নেয়ার নামে অর্থ আত্নসাত করায় দাগনভূঞার চার প্রতারকের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করে সালাউদ্দিন নামের এক ভুক্তভোগী। পুলিশ গত সোমবার রাতে উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী আবদুল্লাহ আল মামুন (৪০) কে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ক্ষিদ্রগতী গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে সালাউদ্দিন কয়েক ব্যক্তি থেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য ১৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা আদম ব্যাপারী উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম মেম্বারের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন, তার ভাই আবদুল্লাহ আল মাছুম, আবদুল্লাহ আল জাইমুন প্রকাশ জাহেদ ও আবদুল্লাহ আল সাইমনের এর হাতে তুলে দেয় বিগত ২০১৪ সালে। দীর্ঘদিন যাবত বিদেশ না পাঠিয়ে টাকা আতœসাত করে ভুক্তভোগীকে হুমকি ধমকি প্রদান করে। ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম জামাল ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল ফোরকান বুলবুলের কাছে ধর্না দেয় ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন। চেয়ারম্যান দ্বয় পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য একাধিক বার অনুরোধ করলে ও কোন কর্নপাত করেনি। বাধ্য হয়ে গত এপ্রিল মাসে বাদী টাকার আদালতে ওই চার প্রতারককে আসামী করে ৪২০/৪০৬ /৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।
আদালত বাদীর মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে। পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্তকরে সত্যতা পেয়ে গত ২০ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত চার্জশীট গ্রহন করে প্রধান আসামী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে ও বাকী তিন আসামীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করে।
মামলার বাদী সালাউদ্দিন জানান, দীর্ঘ চার বছর আসামীদের সাথে যোগাযোগ করেছি টাকার জন্য না দিয়ে উল্টো হত্যার হুমকি দেয়ায় বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ একজনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সম্পাদনা : এএএম/আইকে