মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেলেও পড়তে পারা নিয়ে রয়েছে শঙ্কায় ছিলেন দরিদ্র পান বিক্রেতার মেয়ে সুমি রায়। শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে আর্থিক সহযোগিতা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারাম্যান শুসেন চন্দ্র শীল।
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের পূর্ব হীরাপুর গ্রামের পরিমল রায় ও শিখা রানী রায়ের একমাত্র মেয়ে সুমি রায়।
এসময় উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন, উপজেলা যুবলীগ নেতা আশীষ দত্ত, ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুর শুক্কুর মানিক, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ, জায়লস্কর ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক নিমাই মজুমদার, নন্দ লাল রায়, ব্যাংকার তাপস মজুমদার, মজুমদার ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক নয়ন মজুমদার, স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার মজুমদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেডিক্যাল কলেজের সদ্য প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সুমি রায়। এ নিয়ে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
সুমি রায় সিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
এদিকে ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারাম্যান শুসেন চন্দ্র শীলকে মজুমদার বাড়ী জয়রাধে সেবাশ্রম মন্দিরের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা জানান মজুমদার ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক নয়ন মজুমদার।
উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, পরিবারটি খুব অসহায় ও সম্বলহীন। সুমি রায় মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়ে এলাকার সুনাম বয়ে এনেছে। মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারবে না। খবরটি পাওয়ার পর তার ভর্তির জন্য এগিয়ে এসেছি। আমি তার সফলতা কামনা করি।
সুমি রায়ের পিতা পরিমল রায় বলেন, আমি পান বিক্রি জীবিকা নির্বাহ করি। কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলে যায়। মেয়েটা ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে। তবে ভর্তি করানোর টাকাও আমার ছিল না। ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান টাকা দিয়েছেন আমরা খুব খুশি হয়েছি। এখন স্বপ্নপূরণের দিকে সে এগিয়ে যাবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম