ফেনীর সোনাগাজী থেকে এক গৃহবধূকে (২১) অপহরণের একমাস ছয়দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোর বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে অপহরণকারী আব্দুল্লাহ প্রতীক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে অহরণের শিকার হয় ওই গৃহবধূ। পরও ওই গৃহবধূর স্বামী সোনাগাজী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছিলেন। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরবাজার এলাকার শেখ বাহার উল্যাহর ছেলে মো. আবদুল্লাহ প্রতীক চৌধুরীসহ পাঁচজনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই গৃবধুর সঙ্গে মুঠোফোনে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে আবদুল্লাহর পরিচয় হয়। এর পর দুজনের মধ্যে ফেসবুকেও যোগাযোগ চলতে থাকে। হঠাৎ করে গত কয়েক মাস ধরে আবদুল্লাহ ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করে বিভিন্ন ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে অনৈতিকভাবে অবৈক সম্পর্ক তৈরী করার প্রস্তাব দেয়। অন্যথায় তাঁকে বাড়ি থেকে অপহরণ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীকে জানায়। এ ব্যাপারে তিনি মিরসরাই গিয়ে আবদুল্লাহর পরিবারকে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি। উল্টো এতে আরও ক্ষিপ্ত ও বেপরোয়া হয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাতে গৃহবধু প্রকৃাতর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হলে আবদুল্লাহসহ কয়েকজন সহযোগী একটি গাড়ীতে করে গৃহবধুকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অচেতন করে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নওশের কোরেশী বলেন, উদ্ধারের পর মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী সদর হাসাপাতালে ওই গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানিয়া ইসলামের আদালতে ওই গৃহবধুর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে আদালতের নিদের্শে গৃহবধূকে তাঁর স্বামীর জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ অপহরণের একমাস পর এক গৃহবধূকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণকারীকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি/এটি