পুকুরের মাছ ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ছাগলনাইয়ায় খুরশিদ আলম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বেলা বাড়িতে বৃদ্ধের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে মারা যান। খুরশিদ আলম ফেনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন।
অভিযুক্ত গিয়াস আহমদ ও তার ছেলে মেজবাহ পলাতক রয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গিয়াস আহমদের সঙ্গে একই বাড়ির খুরশিদ আলমের আগে থেকে বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। সোমবার তাদের বাড়ির পুকুরে সেচ দেয়া হয়। এদিন খুরশিদ আলম ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। বিকালে বাড়ির পুকুরে মাছ ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুরশিদ আলম এবং গিয়াস আহমদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এসময় গিয়াস আহমদ ও তার ছেলে মেজবাহ পুকুর পাড়ে লাড়কি দিয়ে খুরশিদ আলমের মাথায় আঘাত করে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ছাগলনাইয়া এবং পরে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাছ ভাগ নিয়ে মূলত এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তিনিসহ থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত খুরশিদ আলমের একমাত্র ছেলে সিয়াম উদ্দিন দ্বাদশ শ্রেণী ছাত্র এবং একমাত্র মেয়ে সায়মা আক্তার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। তার স্ত্রী ছবুরা খাতুন লাশের সঙ্গে (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, রাত ৯ টায়) হাসপাতাল মর্গে রয়েছেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি