চট্টগ্রাম নগরীর কাট্টলী এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পেয়ারী বেগম (৬০) নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়। বার্ন ইউনিটের প্রধান চমেকের সহযোগী অধ্যাপক রফিক উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগুনে পেয়ারী বেগমের শ্বাসসনালী পুড়ে যায়। রবিবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আমরা তাকে হাসপাতালের আইসিইউ সার্পোটে রাখি। কিন্তু এরপরও তাকে বাঁচানো যায়নি। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে রবিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার উত্তর কাট্টলি এলাকার মরিয়ম ভবনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ওই বাসায় থাকা ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ অপর আট জন হলেন মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুল ইসলাম (২৫), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (২), মাহের (৮), সুমাইয়া (১৮), রিয়াজুল ইসলাম (২২) ও সালমা জাহান (২১)।
ঘটনার পর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে ওই বাসার প্রতিটি কক্ষের বিদ্যুতের তার পুড়ে যায়। আগুনে বাসায় থাকা ৯ জন দগ্ধ হওয়া ছাড়া অন্য কোনও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
দগ্ধদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ছয় জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, উত্তর কাট্টলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ সাত জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অপর ছয় জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে আইসিইউ খালি না থাকায় তাদেরকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকায় পাঠানো হয়। শ্বাসনালী দগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি তাদের কারও ৪৫ শতাংশ, কারও শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
দগ্ধদের মধ্যে সাতজন একই পরিবারের সদস্য। তাদের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞার সিন্দুরপুর ইউপির উত্তর কৌশল্যা গ্রামে। অপর দুই জন রিয়াজুল-সালমা দম্পতি ওই বাসায় সাবলেট থাকতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, রিয়ম ভবনের ৬ তলার ওই ফ্ল্যাটে মিজানুর রহমান তার দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। একই ফ্ল্যাটের একটি রুমে রিয়াজুল ইসলাম ও সালমা জাহান দম্পতি সাবলেট থাকতেন। কয়েকদিন আগে নোয়াখালী থেকে মিজানুর রহমানের মা পেয়ারী বেগম ও বাকিরা বেড়াতে এসেছিলেন। এর মধ্যে পেয়ারী বেগম দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি