রাস্তা সামান্য কিন্তু তা পারাপারে দুর্ভোগের শেষ নেই। ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের লেমুয়া-মমতাজ মিয়ার হাট সড়কের লেমুয়া স্টিল ব্রীজ থেকে মমতাজ মিয়ার হাট বাজার পর্যন্ত ও বিশেষ করে নবনির্মিত ‘বিশ্বনালী’ সেতুর দুই পাশের দুরবস্থা চরমে বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটি ব্যবহারে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। একটু বৃষ্টিতে রাস্তাটি পরিণত হচ্ছে কর্দমাক্ত চাষের জমিতে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কার্পেটিং ও ম্যাকাডাম উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। ওই রাস্তা দিয়ে বড় গাড়িতো দূরে থাক ছোট গাড়ি চলাচলেরও অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে দূর-দুরান্ত ঘুরে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছে।
মমতাজ মিয়ার হাটের পাশ্ববর্তী দৌলতপুর, নেয়ামতপুর, মীরগঞ্জ, মজুপুর, মহদিয়া, সুলতানপুর, চাঁদপুর, নেয়ামতপুর, মমতাজ মিয়া, দৌলতপুর, নবাবপুর, ধলিয়া, রাজারহাট, মাছিমপুরসহ ১০/১২টি গ্রামের মানুষ প্রধান সড়ক হিসেবে এটি ব্যবহার করে। গত বছর এই সড়কের মধ্যখানে বিশ^নালী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সেতুর দুই পাশ মাটি ভরাট করায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা জমে যায়। এতে করে সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা, মোটর সাইকেল, সাইকেল, পিকআপ, অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে এ সড়কে চলাচল করছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করেন রোগী ও তার স্বজনরা।
ভূক্তভোগী পথচারী করিম মোহাম্মদ বলেন, প্রতিদিন ওই সড়কের গর্তের কাঁদায় পড়ে ছাত্রছাত্রীসহ অনেককে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তিনি সড়কটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
ইউপি মেম্বার নিখিল চন্দ্র নাথ বলেন, চলাচলের জন্য সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে ইটের ভাঙ্গা আদলা দেয়া হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মাটি নরম হওয়ার কারণে সেগুলোও দেবে গেছে। এতে চলাচলকারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
লেমুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ উদ্দিন নাসিম বলেন, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সহযোগীতায় সড়কটি মেরামতের জন্য প্রায় ৮৫ লাখ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
সম্পাদনা : এএএম/এটি