সোনাগাজী পৌর শহরে ভাড়াটিয়া আর বাসার মালিকের মধ্যে বিবাদ মিটাতে গিয়ে স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমাম উদ্দিন ভূঞা অহেতুক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকায় ইতিমধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের (সওদাগর বাড়ীর) আইয়ুব আলী (৪৫) তার নতুন বাসায় গত ৩ মাস পূর্বে দক্ষিণ পূর্ব চর ছান্দিয়া গ্রামের মাসুদ করিমের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (সোহাগী) (৩৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বাসা ভাড়া প্রদান করেন। নিদিষ্ট সময় পার হওয়ার পর ভাড়া চাইলে সোহাগী ভাড়া দিচ্ছি দিবো বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত ২৬ জুন ২০১৯ তারিখে আবার ভাড়া চাইতে গেলে সোহাগী অসৌজন্যেমূলক আচারণ করেন। এবং ভাড়ার টাকা মালিকের মুখের উপর চুড়ে মেরে বিভিন্ন রকমের হয়রানির হুমকি প্রদান করেন।
এ ঘটনার পর মালিক আইয়ুব আলী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানান। এবং কাউন্সিলর ইমাম উদ্দিন ভূঞাসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সিদ্বান্ত মোতাবেক ভাড়াটিয়া সোহাগীকে ১ মাসের মধ্যে বাসা ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। সোহাগীর হুমকির বিষয়টি নিয়ে ২ জুলাই সোনাগাজী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করা হয়। কিন্তু সোহাগী বাসা না ছেড়ে এক সপ্তাহ পর কাউন্সিলর ইমাম উদ্দিন ভূঞা, বাসার মালিক মিন্টু ও স্থানীয় প্রতিবেশি সুফিয়ান, নান্টুসহ চাঁর জনকে বিবাদী করে ফেনীর এসপি অফিস ও সোনাগাজী থানায় কু-প্রস্তাব ও নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। সোহাগীর অভিযোগ, সুফিয়ান ও নান্টু আমাকে বিভিন্ন সময় বাসায় সুখে শান্তিতে থাকতে হলে স্থানীয় কাউন্সিলর সাথে একান্ত সময় কাটাতে হবে বলে কু-প্রস্তাব প্রদান করেন। না হয় আমাকে ও আমার সন্তানদের খুন-জখম করিবে।
স্থানীয় কাউন্সিলর ইমাম উদ্দিন ভূঞা জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি শুধুমাত্র ভাড়াটিয়া আর মালিকের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সামাধান করতে চেয়েছিলাম। এখন দেখি উল্টো হয়রানির শিকার। এ রকম হলে-তো কেউ কারো বিবাদ মিটাতে যাবে না। কে কি বলেছে, তার উপর ভিত্তি করে আমার অর্জিত সুনাম নষ্ট করছে। অনেকে বিষয়টি না জেনে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করছেন।
স্থানীয় প্রতিবেশী ও বৈঠকে উপস্থিত থাকা কামরুল হোসেন টিপু (৫৭) জানান, ভাড়াটিয়ার অসৎ আচারণের কারণে মালিকের সাথে সৃষ্ট বিবাদ মিটানোর লক্ষে কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে সিদ্বান্ত দিয়ে দেওয়া হয়। অথচ হঠাৎ করে ভাড়াটিয়ার উক্ত অভিযোগ সম্পুন্ন উদ্দেশ্যে প্রনোদিত বলে আমি মনে করি। এখন থেকে বাসা ভাড়া দিতে হলে ভাড়াটিয়ার অতীত রেকর্ড জানতে হবে। না হয় মিন্টুর মতো সবাইকে হয়রানির শিকার হতে হবে।
কামাল উদ্দিন নামে আরেক স্থানীয় জানান, সোহাগী ইতিপূর্বে যে সমস্ত বাসায় ভাড়া থেকেছেন, সে সমস্ত বাসায় খবর নিলেই আপনারা অনেক কিছু সহজে বুঝতে পারবেন।
সোনাগাজী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দিন জানান, বিষয়টি সার্কেল তদন্ত সাইকুল আহাম্মেদ উভয়ের অভিযোগ পেয়ে নিজেই তদন্ত করছেন।
সম্পাদনা : এএএম/এটি