ফেনী শহরের পৌরসভা সংলগ্ন আপ্যায়ন আফরোজ টাওয়ার। শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্পটটির ১৪ তলা ভবনে ৯টি চুলার অনুমোদন নিয়ে জ্বালানো হয় ৩২ চুলা। বহুতল ভবনটির প্রায় সবকটি বাসায় অবৈধ সংযোগ পেয়ে বিস্মিত হন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বিশেষ অভিযানে বেরিয়ে আসে গ্যাস লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফেনীতে বাখরাবাদের গ্যাস হরিলুট, বিলের টাকা কর্মকর্তা-দালালের পকেটে- অভিযানেও বন্ধ হয়না অবৈধ সংযোগ’ এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ হলে শুরু হয় তোলপাড়। সংশ্লিষ্ট মহলে টনক নড়ে। সংবাদটি নজরে পড়ায় জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে বাখরাবাদের কুমিল্লা প্রধান কার্যালয়ের ভিজিলেন্স টিমের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. রবিউল হকের নেতৃত্বে একটি টিম বিশেষ অভিযানে বের হন। অভিযানকালে আপ্যায়ন আফরোজ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলা পেছনের অংশের একটি কক্ষ থেকে ২৩টি অবৈধ চুলার সংযোগ পাওয়া যায়। এসময় বৈধ-অবৈধ ৩২টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে ভিজিলেন্স টিমের ব্যবস্থাপক মো. আবু জাফর, উপ-ব্যবস্থাপক আবুল হাসেম ও মোজাম্মেল হক, সহকারি প্রকৌশলী সেলিম, উপ-সহকারি প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ছাড়াও ফেনী এরিয়া অফিস ব্যবস্থাপক মো. মহিবুর রহমান ও ব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সাহাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওই ভবনের ৯ম তলায় ২০১৭ সাল থেকে স্বপরিবারে বসবাস করছেন ফেনী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর উৎপল কান্তি বৈদ্য। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর জানতে পেরেছেন গ্যাসের সংযোগ অবৈধ। অথচ মালিকপক্ষের মাধ্যমে নিয়মিত বিল পরিশোধ করে আসছেন।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ফেনী এরিয়া অফিস ব্যবস্থাপক মো. মহিবুর রহমান জানান, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মাঠে রয়েছে।
সম্পাদনা : এএএম/এটি