আজ

  • বৃহস্পতিবার
  • ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি আসিফকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম : প্রীতম

  • ফেনী ট্রিবিউন রিপোর্ট
  • প্রীতম আহমেদ— জনপ্রিয় সংগীত তারকা। তিনি দীর্ঘদিন যাবত গানের শিল্পী, গীতিকার ও সুরকারদের প্রাপ্য রয়্যালটি নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন। গত বছর দেশের শীর্ষ চার মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন।

    এদিকে গীতিকার শফিক তুহিনের মানহানির মামলায় জনপ্রিয় শিল্পী আসিফ আকবর সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। এর আগে তিনি প্রীতমসহ একাধিক গীতিকার ও সাংবাদিকদের নিয়ে অভিযোগ ও বিষেদাগার করেছেন ফেসবুক লাইভে।

    সাক্ষাৎকারে এসব মামলা, আসিফ ইস্যুসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন প্রীতম।

    আপনারা তো দীর্ঘদিন যাবত মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। কিন্তু ঠিক কখন বুঝতে পারলেন আপনাদের ঠকানো হচ্ছে এবং কিছু একটা করা উচিত।
    ২০০৬ সালে একটা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হই। তখন থেকেই আমি জানি একটা গান কাউকে দেওয়ার জন্য এনওসি, সার্টিফিকেটসহ অনেক কিছু লাগে।

    আসিফ আকবরের সাথে আপনাদের যে গানগুলো সেগুলো চুক্তি কি হয়েছিল?
    ২০০৫ সালের পর থেকে কিছু ঘটনার কারণে আমি আর আসিফের সাথে কোন গান করেনি। সে আমাদের কাছ থেকে গান নিতো সিডি-ভিসিডির জন্য। তার সাথে সাউন্ডটেকের চুক্তি ছিল, আমাদের না। কিন্তু একটা সময় গিয়ে আমরা জানতে পারি আসিফ গানগুলো (সাউন্ডটেক থেকে করা) মোবাইল কোম্পানির কাছে বিক্রি করছে। যেখানে আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে সেখানে সে নিজে একাই সবার সাইন করেছিল।

    তার মানে আপনাদের কাছ থেকে সিডি-ভিসিডির কপিরাইট নিয়ে গান বিনা অনুমতিতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিক্রি করেছেন আসিফ?
    না, কপিরাইট দেওয়া যায় না। কপিরাইটের ডিস্ট্রিবিউশন দেওয়া যায়। আপনি একটা জিনিস বানিয়েছেন এটার রাইট কিন্তু আপনার। আপনি কাউকে সেটা স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদের বিক্রি করার রাইটস দিতে পারেন— ডিস্ট্রিবিউশন বাবদ।

    আসিফ গ্রেফতারের আগে আপনিসহ অনেকের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ করেছেন— পারিবারিক ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। আপনাদের দ্বন্দ্বটা কোন জায়গায়? আপনি এক জায়গায় বলেছেন একটা ঘটনায় মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী মিটমাট করে দিয়েছিলেন।
    না না আমার সাথে ওর কোনদিন কোন ঝগড়া হয় নাই, মারামারি কাটাকাটি হয় নাই। বসে আড্ডা দিই নাই। যেটা হয়েছিল, প্রথম আলোর তারকা জরিপে আমার ‘কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা’, আসিফের ‘দুঃখ সারি সারি’ আর এন্ড্রু কিশোরের ‘তুমি সুখে থেকো’ নমিনেটেড হয়। এ তিনজন শিল্পী যেদিন নমিনেটেড হয়, সেদিন আসিফ আমাকে ফোন করে বলে, ‘তোমার গান গাওয়ার কী দরকার? সংগীত পরিচালনা করতেছ, সংগীত পরিচালনাই কর।’ আমি বলেছিলাম, ‘আমি যে ধরনের গান করি সেখানে তো আপনার সাথে ক্ল্যাশ করা কথা না। আমি তো আপনারও গান করি।’ তখন তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিল্পীর গান করছো, সংগীত পরিচালক হিসেবে। আর কী চাও?’ আমি বলেছিলাম, ‘সেটা আপনার বিষয়, আমার না।’

    আমার পরবর্তীতে যেটা মনে হয়েছিল, আমার ‘বালিকা’ অ্যালবামে নচিকেতার গান ছিল। যেটা সে প্রোটেস্ট করেছিল। সে চাচ্ছিল তার গানও থাকুক। আমাকে বাবুল ভাই (সাউন্ডটেকের মালিক) বলেছিলেন, ‘তুমি আসিফে তিনটা গান নাও।’ আমার মনে হয় নমিনেশন পাওয়া, ‘বালিকা’ অ্যালবামে তার গান না নেওয়া এবং ‘কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা’ লিস্টে আসা— তাকে বিরক্ত করেছিল।

    আমার জানতে চাওয়া ছিল, মিটমাটের ঘটনা…।
    ওর ‘ধুম্মা চলে’ গানটা যখন রিলিজ হলো তখন সে আমার সাথে ব্যবহারটা করে। দ্বীন ইসলাম নামে মানবজমিনের একজন সাংবাদিক আছে, উনি ভালো বলতে পারবেন। (মোশারফ) রুমী ভাইও (মানবজমিনের বিনোদন প্রধান) বলতে পারবেন। দ্বীন ইসলামকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম, ‘আমি মঙ্গা নিয়ে গান করছি।’ তখন তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এ বাণিজ্যিক যুগে এ সমস্যা নিয়ে গান করে টিকতে পারবেন কিনা?’ তখন আমি বলেছিলাম, ‘দেশের ভিতরে মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। আর আপনি দেশের বাইরে একটা গান হিট হচ্ছে, আপনি সে গান করে হিট…।’

    গানটার শিরোনাম শেম শেম?
    হ্যাঁ। এরপরের বক্তব্য তো আসিফ ভিডিওতেই দিল। সে ভেবেছিল এ কথা আমি তাকে নিয়ে গানটা করেছি। আমি তো বলেছি, ‘ধুম্মা চলে’ গানটা নিয়ে।

    অন্য কেউ তার অবস্থানটা নিয়ে যাবে, উনি এ ভয়টা পাচ্ছিলেন— আপনি এটা ইঙ্গিত করছেন কিনা?
    না, সেটা ইঙ্গিত করছি না। আমি আলোচনায় আসছি সেটা সে পছন্দ করছিল না।

    আপনার সাথেই শুধু নাকি উনার সাথে যে সকল শিল্পী বা গীতিকার-সুরকার কাজ করতেন তাদের কেউ আলোচনায় আসলে উনি তাদের হুমকি-ধামকি দিতেন— ব্যাপারটা কি এরকম ছিল কিনা?
    ওই সময়ে তো সাউন্ডটেকে অন্য কোন শিল্পী থাকতেই পারে নাই। আমিই শেষ ব্যক্তি সাউন্ডটেকের সাথে কাজ করি। আতিক হাসানের অ্যালবামও অনিয়মিত হয়ে গিয়েছিল।

    প্রথম অ্যালবাম ‘মাধবী কী ছিল ভুল’ তুমুল হিট হবার পরও একটা সময় আতিক হাসানও হারিয়ে গিয়েছিলেন। এটার পেছনেও কি আসিফের হাত ছিল?
    এটা আপনারা গবেষণা করে বের করেন।

    তাহলে সাউন্ডটেকে তার এ প্রভাবটা কিভাবে তৈরি হলো? ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবামটা দিয়েই শুধু?
    আসলে ওই সময়ের কোন কিছু নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমরা যেটা দেখেছি সেটাই। ২০০৬ সালের পর আমি আর সাউন্ডটেকে থাকতে পারি নাই। আমার তাদের সাথে শেষ অ্যালবামটার নাম ছিল ‘হ্যালো বন্ধু’। এরপর ২০০৮ পর্যন্ত আসিফকে নিয়ে তারা কাজ করেছে। এরপরে যখন দেখা গেল একা আসিফকে নিয়ে চলছে না, লস হচ্ছে। তখন সাউন্ডটেকের সাথে তার দ্বন্দ্ব হয়। আসিফ সাউন্ডটেক থেকে বেরিয়ে আসে। এতটুকু পর্যন্ত শোনা কথা। এগুলোর সত্য-মিথ্যা আপনারা একটু গবেষণা করলে কিংবা ওই সময়ের সাংবাদিকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারবেন।

    উনি নাকি নানাভাবে জুনিয়র শিল্পীদের উপর প্রভাব খাটাতে চাইতেন। কিংবা সাউন্ডটেকের সাথে আর্থিক নানা লেনদেন নিয়ে সমস্যা ছিল। বিভিন্ন শিল্পীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য—এগুলো ওই সময়কার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে যতদূর জানি।
    এগুলো সত্য। যেমন সাউন্ডটেক বাধ্য ছিল তাকে প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার টাকা দিতে। এরকম একটা অ্যামাউন্ট ফিক্সড ছিল। এখন একজন শিল্পীকে যখন এভাবে টাকা দিতে হত, তখন অন্য শিল্পীদের টাকা দিতে পারত না সাউন্ডটেক। তখন শিল্পীদের সাথে স্বাভাবিকভাবে একটা গ্যাপ তৈরি হত। এরকম কিছু কিছু বিষয় ছিল মনে হয়।

    আমি ঠিক কনফার্মড না, ওর একটা সাক্ষাৎকারে দেখেছি। সে বলেছে, ‘একটা সময়ে আমি সাউন্ডটেকের পার্টনার হয়ে যাই, মালিকের মতো।’ ঘটনাগুলো চিন্তা করলে মিলে যায়। আসিফ যেহেতু সেখানে সিদ্ধান্ত নিত, সেজন্য হয়ত অন্য কোন শিল্পী কাজ করতে পারে নাই।

    কপিরাইটের ইস্যুতে ৬১৭টা গানের স্বাক্ষর জালিয়াতিতে আসিফ জড়িত। কিন্তু এর সাথে কি শুধু উনি একা জড়িত? অন্য কোন শিল্পী, গীতিকার, সুরকার কিংবা মিউজিক কোম্পানি ও কনটেন্ট প্রোভাইডার জড়িত না?
    এ দলিলে শুধু আসিফের স্বাক্ষর। এ দলিলের সাথে আসিফ আকবর থেকে শুরু করে সবাই জড়িত। আপনি যদি একটা চুরির জিনিস বিক্রি করেন এটার সাথে সবাই সমানভাবে জড়িত। কনটেন্ট নিয়ে যদি কথা বলি, আপনাদের প্রত্যেকটা নিউজ লিংক কিন্তু একেকটা কনটেন্ট। আপনি আমার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন পরিবর্তনের জন্য। কিন্তু এটা যখন শুধু শিরোনামটা পরিবর্তন করে অন্য পত্রিকা ছাপিয়ে দিবে, তখন ওই পত্রিকার রিপোর্টার থেকে শুরু সম্পাদক সবাই জড়িত। প্রত্যেকে জানে এটা কপি-পেস্ট নিউজ। একইভাবে আমার গান যখন ওরা যখন বিক্রি করেছে সিপি’রও (কনটেন্ট প্রোভাইডার) অ্যাপ্রুভ করতে হয়েছে। তখন এ অ্যাপ্রুভাল লেটারটা কারা তৈরি করে দিয়েছে। ধরেন, আসিফ তো শুধু সাইন দিয়েছে কপিরাইটের। সাথে তো সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়েছে। এ সার্টিফিকেটটা কই? এটা নিশ্চয় আসিফ বানিয়ে নিয়েছে, না হলে সিপি বানিয়েছে। আর না হলে গ্রামীণ ফোন বানিয়ে নিয়েছে।

    আসিফের সাথে আপনারা যখন গানগুলো করেছিলেন, তখন কি তিনি আপনাদের কাছ থেকে কোন কাগজে সাইন নিয়ে ছিলেন?
    না না।

    পুরো জিনিসটা ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে হয়েছিল?
    হ্যাঁ, হ্যাঁ। আমরা তাকে বিশ্বাস করে দিয়েছি।

    এককালীন একটা অর্থ দিয়ে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে লাভ হলে দেওয়া হবে। এরকম কোন প্রতিশ্রুতি ছিল কিনা?
    না। বিষয়টা এমন ছিল, একটা সিডির জন্য যখন নিচ্ছে তখন আমার তার বাজেট জানতাম। যেমন, আসিফ একটা গানের জন্য পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা বা ৩০ হাজার টাকা। ওই গানের জন্য ৩০ হাজার টাকা পাচ্ছে, সেখান থেকে গীতিকার বা সুরকারের জন্য ১০ হাজার বা ৫ হাজার টাকা থাকত। ৩০ হাজার টাকার বেশি যখন পাবে, তখন তো আমরাও শেয়ার পাবো। এটাতো নিয়ম।

    ধরেন, আপনার একটা জিনিসের দাম ১০ টাকা। এটা যখন দ্বিতীয় বা তৃতীয় বেচা দিবেন, তখন তো আমাকে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। যেমন আপনি আমার সাক্ষাৎকারটা নিচ্ছেন, এটা যদি কোন টিভিতে যায় তাহলে আমি অভিযোগ করবো। কারণ টিভিতে সাক্ষাৎকার গেলে বিজ্ঞাপন চলে এবং আমাদেরকে ২ হাজার, ৩ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। পত্রিকায় আমি সাক্ষাৎকার দিচ্ছি ফ্রি। টিভিতে বিক্রি করলে সে আমার সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করল।

    আমাদের টোটাল বিষয়টা তাই হয়েছে। আমরা তো সাউন্ডটেকের নামে কোন কমপ্লেন করি না। কোন শিল্পী কিন্তু করে না।

    আপনি যে মামলাটা করেছেন এটা কি শুধু মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নাকি মিউজিক কোম্পানিও আছে?
    শুধু চারটা মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে। কোন অডিও কোম্পানি, শিল্পী, গীতিকার, সুরকারের বিরুদ্ধে না।

    তাহলে তো এখানে প্রশ্ন এসে যায়, গানগুলো তো আপনাদের কাছ থেকে অডিও কোম্পানি কিংবা শিল্পী, সুরকাররা নিচ্ছে। তাহলে তারা বা অন্যরা এ মামলার বিবাদী নয় কেন?
    কারণ, সে মোবাইল কোম্পানিগুলো গানগুলো বিক্রি করছে যখন ওই গানগুলোর জন্য আমি সাউন্ডটেকের সাথে কথা বললাম। সাউন্ডটেক বলল, আপনার সাথেই তো আমাদের বিক্রির কোন চুক্তিই নাই। আমাকে সরাসরি বলে দিল। সাউন্ডটেকের সাথে আমার সিডি-ভিসিডি বিক্রির চুক্তি। আমি তাকে এ নিয়ে তো কথা বলছি না। এমনকি তারা যে মিউজিক ভিডিওগুলো অনলাইনে উঠাচ্ছে আমি কিন্তু সেখানে অভিযোগ করছি না।

    ইউটিউব থেকেও অর্থ আসছে, আপনারা কি তাহলে তাদের সে রাইটসও দিয়েছেন?
    এটা কিন্তু পরিষ্কার বলা— সিডি-ভিসিডির সর্বস্বত্ত্ব। সর্বস্বত্ত্ব তারা জোর করে লাগায়। এখন আপনি আমার সাথে কথা বলছেন,  আপনিও কল রেকর্ড করছেন। আমিও করছি। এখন আমি যদি অন্য কোথাও সেল করে দিই তাহলে তো আপনার কপিরাইট লঙ্ঘন হলো। এখন আমি উনাকে দিয়েছি সিডি-ভিসিডির জন্য। এখন টেলিভিশনেও যদি কোন শিল্পী গায়, আমি তাকেও কোন অবজেকশন দিই না।

    বিটিভিতে যখন আমার গান হয়, তখন একটা পেমেন্ট হয়। ওই পেমেন্টে কিন্তু গীতিকার, সুরকারের জন্য পেমেন্ট থাকে। কিন্তু আমরা সে পেমেন্ট নিই না। যেমন; আমি বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড, সাগর-রুনি, কানসাট, গণজাগরণ নিয়ে গান করেছি। সেটার জন্য কী আমি কোন পেমেন্ট নিয়েছি? না। সে গানগুলোর মালিকানাও কেউ দাবি করে না।

    কিন্তু আসিফের যে লিস্ট দেখলাম, সেখানে দেখলাম লেখা আছে— ‘এ গানগুলো নিয়ে কোন সমস্যা হলে আমি রাইটস হোল্ডার হিসেবে সব কিছু ফেস করব।’ তার মানে, সে রাইটস হোল্ডার দাবি করছে নিজেকে। সে তো না। আমি তো তাকে কপিরাইট দিই নাই।

    মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির মুরব্বীরা বলছেন আপনারা কি মামলা না করে তার সাথে বসে বিষয়টা মিটমাট করে ফেলতে পারতেন না?
    সে যদি বাড়তে না চাইতো, আমাদের সামাজিকভাবে প্রতিহত না করতে চাইতো— তাহলে অবশ্যই হত। সে যদি ভদ্রভাবে বলত, প্রীতম যা হইছে হইছে। আসো আমরা বসি, বিষয়টা সেটেল আপ করি। বা তুমি যদি টাকা নিতে চাও এখানে স্বাক্ষর দাও না হলে দিও না। যে ব্যবসা ও করে, ওর সাথে আমি আসলে কোন ডিলে যেতে চাই নাই। গ্রামীণ ফোন আসলে ওদের কাছে আমি আমার পার্ট বিক্রি করতাম, শফিক তুহিনের পার্ট শফিক তুহিন, সাউন্ডটেকের পার্ট সাউন্ডটেক বিক্রি করত। এটা আসলে নিয়ম।

    আপনি চ্যানেল আইয়ের প্রোডিউসার ছিলেন না, সেখান থেকে আপনাকে শারজাহর একটি ঘটনায় ব্যান করা হয়েছে। আসিফের এ অভিযোগ নিয়ে বক্তব্য কী?
    চ্যানেল আইয়ের সারেগামা অনুষ্ঠানের প্রযোজক ছিলাম আমি। আসিফ যখন সাউন্ডটেক থেকে আমার কাজ বন্ধ করে দেয় একই দিনে চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান থেকেও আমাকে অব্যাহতি দিয়ে আহমেদ রিজভিকে দেয়া হয়। এই অবিচারের অভিমানে আমি চ্যানেল আইয়ে যাওয়া বন্ধ করি। আমার সাথে তাদের কোন রকম কোন দ্বন্দ্ব নেই।

    চ্যানেল আইয়ের শারজাহ’র অনুষ্ঠান তাদের নিজস্ব অনুষ্টান ছিল। সেখানে প্রডিউসরের হাত দিয়ে টাকা খরচের কোন সুযোগই ছিল না। গরমিল হবে কোত্থেকে? অনম আর তন্দ্রা ছিল উপস্থাপনায়…।

    চ্যানেল আই থেকে আপনার অনুষ্ঠান বন্ধের পেছনে আসিফ ভাইয়ের হাত রয়েছে?
    হ্যাঁ, সাউন্ডটেক ও চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান থেকে একদিনেই আমাকে ব্লক করা হয়েছিল।

    সেটা কি প্রথম আলোর নমিনেশন ও ‘বালিকা’ গান হিট হওয়ার পরের ঘটনা?
    ‘কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা’ নমিনেটেড হয়েছিল। তার পরই ২০০৫ এ ‘বালিকা’ রিলিজ হয়। এবং ২০০৫ এ তার সাথে আমার সম্পর্ক শেষ। সন্তান হয়েছে ২০০৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আর ডিভোর্স হয়েছে ২০০৯ এর মে মাসে। কিন্তু এই ঘটনাগুলো সে এক করে গুলিয়ে ফেলে মিথ্যা বলেছে। মিথ্যে গল্প বানালে যা হয় এখানেও তাই হয়েছে।

    আপনি কি আসিফ ভাইয়ের বিরুদ্ধে আলাদা করে মানহানি মামলা করবেন?
    আমি উনাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন যে সব গল্প ছড়াচ্ছে তাতে মনে হয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবতে হবে।

    এজেডএস/ডব্লিউএস


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090