আজ

  • মঙ্গলবার
  • ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুভকে হত্যা করে সহপাঠি ইমন

  • নিজস্ব প্রতিনিধি
  • ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা থেকে নিখোঁজের ৭ দিন পর স্কুল ছাত্র শুভ’র লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ইসমাইল হোসেন ইমন (১৪) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। নিহত শুভ ও আসামী ইমন দু’জনই স্থানীয় মাদার কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরজিত বডুয়া জানান, ৩১ মার্চ বিকালে নিখোঁজ হয় হয় দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সৌদি প্রবাসী ইমাম হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন শুভ (১৪)। ঘটনার ৭দিন পর মাথিয়ারা এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ অর্ধগলিত অবস্থায় শুভর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহত শুভর মা খাদিজা বেগম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শুভর সহপাঠি ইসমাইল হোসেন ইমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মঙ্গলবার দুুপুরে ফেনী সদর আমলী আদালতে সমর্পন করা হলে ইমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

    জবানবন্দিতে ইমন জানান, বিগত ৩০ মার্চ একটি মেয়ের মোবাইল নাম্বার নিয়ে ইমনের সাথে শুভর বাক বিতন্ডা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে ৩১ মার্চ বিকালে শুভকে বাড়ী থেকে ঢেকে আনে ইমন। পরে তারা দু’জনে তেমুহনী বাজারের ডেন্টাল গলিতে বসে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে। বিকাল ৪/৫ টার দিকে ইমন তার সহপাঠি শুভকে সু-কৌশলে পাশ্ববর্তী কলা বাগানে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত ইমন মধ্যম মাথিয়ারা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন শেষে আদালত ইমনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    ফেনী মডেল থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, শুভকে নিজ হাতে তার সহপাঠি ইমন খুন করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

    সম্পাদনা : এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090