ফেনীতে ৭ দিনব্যাপী তারুণ্যের মেলার সমাপনীতে দেশের পূর্বাঞ্চলের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা নিয়ে প্রকাশিত প্রথম বই তরুণ লেখক ও সংগঠক নজরুল বিন মাহমুদুল এর লেখা চব্বিশের বন্যা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর পিটিআই স্কুল মাঠে আয়োজিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসুস শূরা সদস্য ও ফেনী জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক আবু তাহের, ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন, সাপ্তাহিক স্বদেশ পত্রের সম্পাদক এন এন জীবন ও কবি মঞ্জুর তাজিম, বইনামা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী রাশেদুল হাসান।
কবি ও লেখক সুমন ইসলাম এর উপস্থাপনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন কবি ও লেখক ইকবাল আলম, সোনাগাজী সিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আকবর হোসেন, ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের পক্ষ থেকে ওসমান গণি রাসেল ও পরিবেশ ক্লাব অব ইয়ুথ নেটওয়ার্ক এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহাম্মদ।
পরিবেশ ক্লাব অব ইয়ুথ নেটওয়ার্ক কর্তৃক আয়োজিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বইয়ের প্রকাশক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, তরুণ লেখক ও সংগঠক নজরুল বিন মাহমুদুল রচিত চব্বিশের বন্যা বইটিতে ফেনীর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার বাস্তবিক অভিজ্ঞতা ও সীমাবদ্ধতার কথা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রতিবছর ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যা হয়। কিন্তু চব্বিশের ভয়াবহ বন্যায় ফেনীর সবকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। গ্রাম থেকে শহরে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবারের বন্যায়। এমন ভয়াবহ বন্যার সাথে পরিচিত নয় ফেনীবাসী। বন্যার ভয়াবহ দিনগুলোতে লেখকের মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করা হয়েছে বইটিতে। ভয়াবহ এ দুর্যোগে দেশবাসী যেভাবে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তার বর্ণনা আছে বইটিতে। আগামী প্রজন্মকে ফেনীর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সঠিক তথ্য জানাতে এবং যেকোন গবেষণার কাজে বইটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি