ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেছেন, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার পৌরসভার দায়িত্ব। দেশের অনেক শহর আছে সেগুলোতে হাট জায়গা আছে। অথচ ফেনী শহরে কোন জায়গা আছে? শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাজাঝির দীঘির পাড়ে গেলে দেখবেন পলিথিনের সুরঙ্গ। এনিয়ে পৌরসভা কিছুই করতে পারে না। নতুন পরিষদ আসছে দেখা যাক তারা কিছু করতে পারে কিনা। জেলা প্রশাসন এখানে উচ্ছেদ করে দিলে সেটা ঠিক রাখার দায়িত্ব পৌরসভার। এতে ফেনীর লোকজন নির্বিঘ্নে হাঁটবে। শহরকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করতে হবে। এই শহরে খাল ছিল, পুকুর ছিল এখন সেগুলো খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সরকারি পুকুর দখল করে মার্কেট করা হয়েছে। মার্কেট আর মার্কেট হচ্ছে হকার কমছে না, আর কখনই কমবে না। আপনারা বলেন হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে। ফেনীর ফুটপাতে যারা দোকান করছে তাদের একজনেরও ফেনী বাড়ি না। অন্য জায়গা থেকে এসে গেড়ে বসেছে। একসময় দেখবেন ফেনীর লোক হবে পরবাসী, আর বহিরাগতরা হবে আদিবাসী। এজন্য দায়ী আপনারাই হবেন।
জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করে বলেন, ভেজাল জিনিসপত্র বিক্রি করবেন না, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখবেন, রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন, এগুলো রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের। আর দরদাম নিয়ে গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার করবেন না। মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী শহর পরিষ্কার পরিছন্নতা ও জনগণের চলাচল উপযোগীকরণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি হাজী গোলাম রসুল ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম জাকারিয়া, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম গিটার, ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, ক্যাব ফেনীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু।
ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমা, সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুল ইসলাম রুবেল।
অনুষ্ঠানে শহর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি