ফেনীর পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের সমিতি রাস্তার মাথায় ২০০০ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে যাত্রী ছাউনী ও একটি দোকান তৈরী করা হয়। যা পরবর্তীতে ইজারা দেয় জেলা পরিষদ।
জানা গেছে, অনন্তপুর নিবাসী জনৈক স্বরভীন সুলতানা উক্ত যাত্রী ছাউনীর দোকানটি ইজারা নেয় প্রতিমাসে ৩শ ৮৪ টাকা হারে। দীর্ঘদিন থেকে উক্ত স্থানে জনবসতি কম থাকায় যাত্রী ছাউনীটি ও দোকানটি অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে ইজারা গ্রহিতাকে পড়তে হয় লোকসানে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- যাত্রী ছাউনীটির প্লাষ্টার খসে পড়ছে ও দোকান ঘরটির সার্টার একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছে। ২০০৮ সালে উক্ত স্থানে একটি মাদরাসা, এতিমখানা ও কলেজ স্থাপন করার হয়। ফলে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয় উঠেছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যাত্রী ছাউনী ও দোকানটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় শহীদ উল্যাহ জানান, বর্তমানে এলাকার জনগন ও ছাত্রছাত্রীদের বর্ষা মৌসুমে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া আশেপাশে কোন খাবারের দোকান ও দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় দূরদুরান্ত থেকে আসা এলাকার জনগন ও ছাত্রছাত্রীর বিভিন্ন সমস্যা পড়তে হয়।
স্কুলের ছাত্র শফিকুর রহমান জানান, যাত্রী ছাউনী ও দোকান ঘরটি মেরামত করলে এলাকার শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ উপকৃত হবে।
এ ব্যাপারে ইজারা গ্রহিতা স্বরভীন সুলতানা জানায়, তিনি একাধিকবার মৌখিক ভাবে জেলা পরিষদকে জানালেও তাঁরা কোন মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি বরং ভাড়ার জন্য বার বার তাগাদা দিয়ে চিঠি দিচ্ছে।
ফেনী ট্রিবিউন/ এএএম/এটি/এপি