আজ

  • বুধবার
  • ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীর বড় তারকা ‘হীরা মানিক’

  • বিশেষ প্রতিবেদক
  • ভালোবেসে ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘হীরা মানিক’। সেটি এবারের কোরবানীর পশুর হাটে ফেনীর বড় তারকা। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়ের ওজন ৩৮ মণ ১০ কেজি। আসন্ন ঈদে কোরবানির জন্য ষাঁড়টিকে প্রস্তুত করেছেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের খামারি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।

    কুচকুচে কালো রঙের এই ষাঁড়ের বয়স ৪ বছর ১০ মাস। ১০ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে এলাকায় সাড়া ফেলেছে হীরা মানিক। ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই রিয়াজের বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন। ২০১৬ সালে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে হীরা মানিকের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে ষাঁড়টি দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়। গত বছর থেকেই রিয়াজ এটি বিক্রির চেষ্টা করছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর ষাঁড়টি বিক্রি করতে পারেননি তিনি।

    রিয়াজ বলেন, ‘হীরা মানিককে প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈলবীজের খৈল, ছোলা ও খুদের ভাতসহ সম্পূরক কিছু খাবার দিই। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ কেজি খাবার খায়। শুরুর দিকে খাবার কম খেলেও দিনে দিনে এর খাবারের চাহিদা অনেক বেড়েছে। প্রতি মাসে এটির পেছনে অনেক টাকা খরচ হয়।’

    বর্তমানের তাঁর খামারে ৩২টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহমা জাতের একটি সাদা-কালো রঙের ষাঁড়। তিন বছর বয়সী এই ষাঁড়ের ওজন প্রায় ১৮ মণ। এটির দাম হাঁকানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। রিয়াজ বলেন, এ ধরনের গরু লালন-পালন বেশ কষ্টকর। পরিবারের অন্য সদস্যের মতো করেই তিনি গরুটি পালন করেছেন। পরিবারের সবাই মিলে যত্ন নিয়ে বড় করেছেন। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। ভালো দাম পেলেই গরু দুটি বিক্রি করে দিতে চান তিনি।

    তবে চলমান লকডাউনের কারণে গরু দুটি বাড়িতে রেখেই অনলাইনে ছবি ও বিবরণ দিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। অনলাইনে ক্রেতারা গরু দুটির দাম অনেক কম বলছেন বলে জানান তিনি। এ কারণে গরু বিক্রি করা নিয়ে রিয়াজের মনে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। তবে লকডাউন শিথিল হলে গরুগুলো বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের সাগরিকা বাজার অথবা ঢাকার কোনো হাটে তোলার পরিকল্পনা আছে তাঁর। সেখানেও বিক্রি না হলে আবার আগামী বছরের জন্য গরু রেখে দেবেন বলে তিনি জানান।

    উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কল্লোল বড়ুয়া বলেন, তাঁর জানামতে ফেনী জেলার মধ্যে এর চেয়ে বড় ষাঁড় আর নেই। বিভিন্ন সময়ে রিয়াজ গরু পালনের ব্যাপারে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শও নিয়েছেন। তিনি জানান, গত বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ১৯ হাজার গবাদি পশু পালন করা হয়েছিল। এ বছর এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২১ হাজার হয়েছে।

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090