সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ, পৌরসভা, চর চান্দিয়া ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গত তিনদিনে পাগলা কুকুরে কামড়ে শিশু-নারী ও প্রাপ্ত বয়স্কসহ ১৫জন আহত হয়েছে। শুধুমাত্র গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আটজন কুকুরের কামড়ে আহত রোগী হাসপাতালে এসেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানা যায়, বুধবার থেকে পৌরসভার চর গনেশ, তুলাতলী, উপজেলার সোনাপুর, সাহাপুর, সুজাপুর, চর খোয়াজ ও দক্ষিণ পূর্ব চার চান্দিয়া এলাকায় হঠাৎ করে পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। বুধবার থেকে গতকাল শুক্রবার তিনদিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন আরজু আক্তার (২৫), মো: হৃদয় (১২), মো: ফাহিম (৩), শারমিন আক্তার (৯), রফিদা খাতুন (৩৮), মো: জিহাদ (৮), হোসনে আরা বেগম (৫০), মো: আবির হোসেন (৫), শহীদ উল্যাহ (১২), নাসিমা খাতুন (৩২)। বাকীরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর খোয়াজ এলাকার আরজু আক্তার বলেন, শীত থাকায় গতকাল সকালে তিনি বাড়ির উঠানে রোদে বসে কাজ করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ একটি কুকুর এসে তার বাম পায়ে কামড় দিয়ে টেনে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় তিনি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কুকুরটিকে তাড়ানো চেষ্টা করেন। কুকুরটি তার ওপরও ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। ক্ষুধার্ত হয়ে কুকুরটি হামলা করেছিল বলে তার ধারণা। বাড়ির লোকজন এসে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
পৌর শহরের জিরোপয়েন্ট এলাকার ব্যবসায়ী অসীম কুমার সাহা বলেন, হঠাৎ করে গত বেশ কয়েকদিন থেকে পৌর শহরের বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রুপ বেড়ে গেছে। অনেকগুলো কুকুরের শরীরের আঘাতের চিহ্ন থাকায় দুগন্ধে অনেক সময় দোকানে বসতে কষ্ট হয়। তিনি বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাদেকুল করিম আরাফাত বলেন, গত কয়েকদিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১০-১২জন রোগি চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে স্থানীয় ক্লিনিক থেকেও চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছেন। তিনি বলেন বেশ কয়েকজন রোগির শরীরের একাধিক স্থানে কুকুরের কামড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, শুধু গতকাল উপজেলার চর খোয়াজ ও দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকা থেকে কুকুরে কামড়ে আহত আটজন রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: নুরুল আলম বলেন, কুকুরের কামড়ে আহত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও টিকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আহতদেরকে নিয়মিত ওষুধ ও টিকা চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি/এপি