সমাচার রিপোর্ট:
ফেনীতে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের খবর শুনে একটি পরিবারের সদস্যরা হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শহরের মিজান রোডের আনোয়ার উদ্দিন বাইলেনের একটি বাসায় রোববার দুপুরে নতুন করে শোক জাগিয়ে দেয়।
তাদের মেয়ে শিরিন সুলতানা ওরফে রত্মা এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ পেয়েছে। এ খবরটি বাসায় পৌঁছার পরই শুরু হয় কান্না। বাবা ও মায়ের আর্তি এ ফলাফল যে মেয়ের জন্য সে তো বেঁচে নেই। গত ১ মার্চ এক দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
ওই বাসার সৌদি প্রবাসী আনিছুল হক ও গৃহবধু সালমা আক্তারের মেয়ে শিরিন সুলতানা ওরফে রত্মা চলতি বছর ফেনী পৌর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিল। পরীক্ষা শেষ হয় গত ১লা মার্চ। ওই দিন বিকেলে মেয়েকে বাসায় রেখে তার মা পাশের একটি বাসায় গিয়েছিলেন। বাসায় ফিরে দেখতে পান মেয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার আবদুল্লাহ আল-মামুন নামে এক দুর্বৃত্ত ওই পরীক্ষার্থীকে জবাই করে হত্যা করে। পালানোর সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। সে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীও প্রদান করে।
আনিছুল হক ও সালমা আক্তরের দুই মেয়ের মধ্যে শিরিন সুলতানা ছোট। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। বড় মেয়ের তিন বছর আগে বিয়ে হয়। ছোট মেয়েকে নিয়ে নানা স্বপ্ন দেখেছিল পরিবারটি।
তার বাবা আনিছুল হক কান্না জড়িত কন্ঠে জানায়, যাদের সুখের জন্য দীর্ঘ সময় প্রবাসে শ্রমিকের কাজ করেছেন। এখন তাদের সব স্বপ্ন শেষ। মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে দেশে ফিরেছেন। আর যাবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের পর যাঁরা সহানুভুতি জানাতে এসেছিলেন-আজও তাদের অনেকেই সহানুভুতি জানাতে বাসায় আসেন।