দাগনভূঞা উপজেলায় শাহজালাল নামে এক ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে শিকলে বন্দি। মানসিক ভারসাম্যহীন এই ব্যক্তিকে অর্থের অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছে না তার পরিবার। আর্থিক সহায়তা পেলে তাকে সুস্থ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানাযায়, উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে শাহজালাল। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেনা বলে জানিয়েছেন তার মা। চিকিৎসা পেলে ভালো হতে পারে বলে স্বজনের বিশ্বাস।
শাহজালালের বয়োবৃদ্ধ মা আনোয়ারা বেগম জানান, প্রায় বিশ বছর আগে হঠাৎ একদিন জালালের জ্বর হয়। তখন থেকে ধীরে ধীরে তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হতে থাকে। মাকেও চিনতে পারেনা। একসময় সবাইকে মারধর গালিগালাজ তার স্বভাবে পরিনত হয়। তাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। নিরুপায় হয়ে ছোট একটি ঘরে তারা জালালকে শিকলবন্দি করে রেখেছেন।
তিনি বলেন, সংসারের অভাব-অনটনের কারণে জালালকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক বলেন, জালালের আচার, আচরণে কথা বার্তায় মারমুখী হয়ে লোকজনের ওপর হামলার কারনে তাকে শিকলবন্দি করতে বাধ্য হয় স্বজনরা। প্রতি মাসে তাকে ৭৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। জালালের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান ফারুক।
প্রতিবেশী আজহারুল হক বলেন, মানবিক কারনে জালালের উন্নত চিকিৎসা করা দরকার। আর্থিক সহায়তা পেলে তাকে সুস্থ করা সম্ভব। তাই তাকে সহযোগীতা করতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।
জালালের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, ব্যাপারটি দুঃখজনক। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে শুনেছেন। তিনি খোঁজ খবর নিয়ে শাহ জালালকে প্রশাসনিকভাবে সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি