ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এবং পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত প্ল্যান উপেক্ষা করে ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভায় জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সবুজ রামনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা। দাগনভূঞা দক্ষিণ বাজারে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুর সড়কে জায়গা জবরদখলের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী সাংবাদিক কাজী মুস্তাফিজ জানান, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী সবুজ (৪১) বিগত ২০১০ ও ২০১২ সালে দাগনভূঞা পৌরসভাধীন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলীপুর সড়কে (বেতুয়া মৌজার সাবেক ২০১ নম্বর দাগ, হাল দাগ ৮৩) আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির তিনজন ওয়ারিশ থেকে দুই দফায় মোট ২.২৫ (দুই দশমিক দুই পাঁচ) শতাংশ জায়গা কিনেছেন। পরে সেখানে ‘মদীনা ভবন’ নামে বাড়িও নির্মাণ করেন।
কাজী মুস্তাফিজ জানান, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করি যে, ইকবাল বাড়ি নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা উপেক্ষা করে ইকবাল তার কেনা সম্পতির চেয়ে প্রায় ০.৫০ (শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য) শতাংশ অতিরিক্ত জায়গা দখল করেছেন। আমি দীর্ঘদিন কর্মস্থল ঢাকায় অবস্থান করার কারণে বিষয়টি নজরে আসেনি। সম্প্রতি তাকে বিষয়টি বিনয়ের সঙ্গে অবগত করে সুরাহার অনুরোধ জানালে তিনি পাল্টা আমার ও পরিবারের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে রবিবার দাগনভূঞা পৌরসভার প্রশাসককের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সবুজ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কারো জায়গা দখল করেননি।বরং তার কেনা জায়গায় কম আছে। তিনি আজ ঢাকায় যাচ্ছেন, ঢাকা থেকে ফিরলে কাগজপত্র দেখাবেন।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম. আজহারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি