বিশ্বের ৭৯ দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতাও জারি করেছে। এরইমধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়েছে। তাই বাংলাদেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন।
খালি চোখে না দেখা করোনাভাইরাসটি ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে দেখতে হয়। ভাইরাসটি শক্তিশালী হলেও সেটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। করোনা থেকে বাঁচতে সংগঠনটি আটটি পরামর্শ দিয়েছে।
• করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। মাস্ক ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করতে পারে। তাই মাস্ক ব্যবহার করুন।
• করোনাভাইরাস মাটিতে অবস্থান করে, এটি বাতাসে ছড়ায় না। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
• কোনো ধাতব তলে বা বস্তুতে করোনা পড়লে প্রায় ১২ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই সাবান দিয়ে হাত ধুলেই যথেষ্ট হবে।
• করোনাভাইরাস কাপড়ে ৯ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই কাপড় ধুয়ে রোদে দুই ঘণ্টা রাখলে ভাইরাসটি মারা যাবে।
• করোনাভাইরাস হাত বা ত্বকে ১০ মিনিটের মতো জীবিত থাকতে পারে। তাই অ্যালকোহল মিশ্রিত জীবাণুনাশক হাতে মেখে নিলে ভাইরাসটি মারা যাবে।
• গরম আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস বাঁচে না। ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রাই ভাইরাসটিকে মারতে পারে। কাজেই ভালো না লাগলেও বেশি বেশি গরম পানি পান করুন। আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন।
• লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গারগল করলে গলা পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টনসিলের জীবাণুসহ করোনাভাইরাস দূর হবে। এছাড়া ফুসফুসে সংক্রমিত হবে না।
• করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নাকে, মুখে আঙ্গুল বা হাত দেয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ, মানব শরীরে জীবাণু ঢোকার সদর দরজা হলো নাক-মুখ-চোখ।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এমকেএ