ফেনী শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকদের নানা অনিয়মে হয়রানী হচ্ছেন সাধারন রোগীরা।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন চিকিৎসকরা ইচ্ছেমত ডিগ্রি ব্যবহার করে রোগীদের প্রতারিত করছেন। কোন কোন ডাক্তার কার্ডে অধ্যাপক ও সহযোগি অধ্যাপক, ভিজিটিং কার্ডে কনসালটেন্ট ডিগ্রি ব্যবহার করছে। আবার কোন ডাক্তার কোথাও অভিজ্ঞ, কোথাও বিশেষজ্ঞ কিংবা অনেকে এফসিপিএসে ভর্তি হয়ে কোর্স সম্পূর্ণ না করেও এফসিপিএস পদবী ব্যবহার করেন। কেউ কেউ পিজিটি সার্জারী ও পিজিটি গাইনী (মেডিসিন)ও পরিচয় দিচ্ছেন। তারা ভিজিট আদায় করছেন ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কিছু কিছু ডাক্তার রোগীদের অপ্রয়োজনে বিভিন্ন টেষ্ট ও ঔষধ লিখে নানাভাাবে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক চিকিৎসক টেষ্টের রিপোর্ট ছাড়া করা ছাড়া ঔষধ লিখে দেন না। অনেকে রিপোর্ট দেখাতে পুনরায় রোগীর কাছ থেকে ভিজিট আদায় করেন। এতে প্রায়সময় বিভিন্ন ক্লিনিকে ডাক্তার ও মালিক পক্ষের সাথে রোগীদের বাকবিতন্ডা হয়। বাধ্য হয়েই পুনরায় ভিজিট প্রদান করেন।
সোনাগাজী উপজেলার জাকির হোসেন নামের এক রোগী জানান, ব্যাথার সমস্যা নিয়ে ফেনীতে একটি ক্লিনিকে এলে ডাক্তার তাকে অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে রিপোর্ট দেখাতে বলেন। রিপোর্ট নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে প্রয়োজনীয় ঔষধের সাথে সরকার নিষিদ্ধ ৩টি ফুড সাপ্লিমেন্ট লিখে দেন। যা জেএসএম, এমআরভিট ও মেরিক্যাল নামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে এসব অনিয়ম প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা দিলেও কিছুদিন পর ফের প্রতারনা শুরু করেন। এতে কারনে রোগী সাধারণ অভিযান জোরদার রাখার দাবী জানান।
সম্পাদনা : এএএম/এমকে