সদর প্রতিনিধি
ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ার কালিদাস পাহালিয়া নদী থেকে ৮টি স্পটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। বালু উত্তোলনের ফলে নদী পাশ্ববর্তী এলাকায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ঘর-বাড়ি ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তাতে ফল হচ্ছেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস যাবত স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা কালিদাস পাহালিয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার বসিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। লেমুয়া বাজারের পাশ্ববর্তী স্থানে এলাকাবাসীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা শিপন মেম্বার ও বাবলুর নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। একই ভাবে দক্ষিণ চাঁদপুর জেলে বাড়ি সংলপ্ন স্থানে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দাউদুল ইসলাম দাউদের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। পাশ^বর্তী এলাকা দক্ষিণ লেমুয়া গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান তালুকদার, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটি থেকে বহিস্কৃত মাসুদ তালুকদার ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মেম্বারের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। একই ভাবে নেয়ামতপুর গ্রামে যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জুলফিকার মেম্বার দীর্ঘদিন যাবত বালু উত্তোলন করে ফসলি জমি ভরাট ও বাড়ি-ঘর ভরাট এবং বিক্রি করে আসছেন। আরও লেমুয়া ইউনিয়নের মীরগঞ্জ গ্রামে যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক বালু উত্তোলন করে আসছে। এছাড়া মীরগঞ্জ মালোয়েশিয়া মার্কেট বালু উত্তোলন করে আসছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। লেমুয়ার রামপুর এলাকায় গিয়াস মেম্বার, মজুমদারহাট এলাকায় মাবুল হক মাবু ও মজুপুর এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে যুবলীগ কর্মী সুমন।
এদিকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন বালু উত্তোলন বন্ধ করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লেমুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দাউদুল ইসলাম দাউদ বালু উত্তোলনের সাথে তিনি জড়িত নয় বলে দাবী করেন।
এবিষয়ে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।